পাকিস্তানকে চার গোলে হারানোর পর চলতি সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে ভারতের সামনে এখন একটাই লক্ষ্য সেমিফাইনালে জায়গা পাকা করা। তার জন্য লিগপর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান না সুনীলরা। শনিবার নেপালকে হারিয়েই সেই কাজটি সেরে ফেলার পক্ষপাতী গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
চলতি বছরে টানা সাতটি ম্যাচে কোনও গোল না খেয়ে অপরাজিত থাকা ভারতকে হারালে নেপাল যে একটা বড় অঘটন ঘটাবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যদিও আধুনিক ফুটবলে অঘটন যখন তখন ঘটে। কিন্তু যে নেপাল গত দশটি ম্যাচে ভারতকে হারাতে পারেনি, তারা আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটতে থাকা এই ভারতকে হারাতে পারলে, তা তাদের ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা অঘটন হয়ে উঠতে পারে।
তবে বরাবরের মতোই সাবধান ভারতীয় দলের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচ। চার গোলে পাকিস্তানকে হারানোর আগেও তিনি সতর্ক ছিলেন, দলের খেলোয়াড়রা যাতে আত্মতুষ্ট হয়ে না পড়ে। শুক্রবার তিনি বলেন, “নেপাল কয়েক মাস আগে তাদের কোচ বদলেছে। দায়িত্ব নেওয়ার পরে নিশ্চয়ই দলের দর্শন বদলে ফেলার চেষ্টা করছে সে। তবে আমার চিন্তা প্রতিপক্ষকে নিয়ে নয়, নিজেদের নিয়ে। আমরা কোথায়, কতটা উন্নতি করতে পারি, চিন্তা সেই নিয়ে। যে ছন্দে রয়েছি আমরা, সেই ছন্দ ধরে রাখতে হবে আমাদের”।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দলের ছেলেরা যে রকম খেলেছে, তাতে আমি খুবই খুশি। আরও খুশি যে, ওই ম্যাচের কথা পুরোপুরি ভুলে গিয়ে ছেলেরা এখন পরের ম্যাচের প্রস্তুতিতে মন দিয়েছে। সব প্রতিপক্ষদের সম্মান জানিয়েই বলছি, আমরা এখন আর অন্যদের কথা বেশি ভাবতে পারছি না, শুধু নিজেদের নিয়েই ভাবছি।
গত ম্যাচে মাঠে ঢুকে অবৈধ আচরণ করে লাল কার্ড দেখতে হয়েছিল ভারতীয় কোচকে। তবে তিনি সেই ঘটনা নিয়ে অনুতপ্ত নন। বলেছেন, “রাগের মাথায় কিছু করিনি, ঠাণ্ডা মাথাতেই করেছি এবং শাস্তি পেতে হবে জেনেই করেছি। দলের ছেলেদের বাঁচাতেই করেছিলাম। ওদের লাল কার্ড দেখার চেয়ে আমার লাল কার্ড দেখাটাই ভালো”। এভাবে ভারতীয় দলে তিনি ক্রমশ জনপ্রিয় কোচ হয়ে উঠছেন ঠিকই। কিন্তু কতটা সফল কোচ হয়ে উঠতে পারবেন, তা অবশ্য সময়ই বলে দেবে। আজকে যদিও স্টিমাচ ডাগআউটে থাকতে পারবেন না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন