দু’দিন আগেই কাতারে প্রাণ হারান মার্কিন ক্রীড়া সাংবাদিক গ্রান্ট ওয়াহল (Grant Wahl)। সেই রেশ না কাটতেই, রবিবার- আবার প্রাণ গেল এক সাংবাদিকের। মৃত সাংবাদিকের নাম খালিদ আল-মিসালাম (Khalid al-Misslam)। কাতারের আল কাস টিভির (Al Kass TV) চিত্র সাংবাদিক ছিলেন তিনি। তবে, তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘মেট্রো’ (Metro) জানিয়েছে, গত শুক্রবার, লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ চলাকালীনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মার্কিন ক্রীড়া সাংবাদিক গ্রান্ট ওয়াহল। এ সময় তাঁর পড়নে ছিল সমকামিতার সমর্থনে পরা টি-শার্ট। সেই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা না পেরোতেই আবার এক চিত্র-সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।’ মঙ্গলবার, আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের আগে এই খবর ক্রীড়া সংবাদ জগতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা যাচ্ছে, কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচ চলাকালীনই প্রেস বক্সের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন মার্কিন ক্রীড়া সাংবাদিক গ্রান্ট ওয়াহল। তৎক্ষণাৎ, নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, গ্রান্টের মৃত্যুর নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন তাঁর ভাই এরিক ওয়াহল। তাঁর দাবি করেছেন, খুন করা হয়েছে গ্রান্টকে। তিনি জানান, কাতারে সমকামিতা নিষিদ্ধ সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েলেস ম্যাচে রেনবো শার্ট পরতে দেখা যায় গ্রান্টেকে। এরপরই গ্রান্টকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল গ্রান্ট।
এদিকে, গ্রান্টের অকাল মৃত্যুতে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানায় ফিফা। লুসেইল স্টেডিয়ামে গ্রান্টের নির্ধারিত জায়গায় সাদা ফুল রেখে তাঁকে স্মরণ করে। তবে কাতার প্রশাসনের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তারপরে, আবার এক কাতারের চিত্র সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। আর, বিশ্বকাপ চলাকালীন এ ভাবে সাংবাদিকদের রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন