ইডেনে বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে এবার। সেই উপলক্ষ্যে সিএবির উদ্যোগে ২৭ অক্টোবর থেকে কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের তাঁবুতে (সিএসজেসি) খোলা হচ্ছে মিডিয়া সেন্টার। থাকছে হাইস্পিড ওয়াইফাই, এলইডি টিভি, কাজ করার উপযোগী টেবিল-চেয়ার ও অন্যান্য আরও সুবিধা। বিশ্বকাপ ম্যাচের আগের দিন ও ম্যাচের দিন খোলা থাকবে এই মিডিয়া সেন্টার।
শুধু ক্লাব সদস্য বা অ্যাক্রিডেটেড সাংবাদিকরাই নন, প্রত্যেক সাংবাদিক বন্ধুরা এই মিডিয়া সেন্টার ব্যাবহার করতে পারবেন। সিএসজেসির সভাপতি জানান, দেশ বিদেশের সাংবাদিকরা যাতে উপভোগ করতে পারে সেই কারণে এই প্রয়াস।
ইডেন বিশ্বকাপের মোট ৫টি ম্যাচ আয়োজন করছে -
১) নেদারল্যান্ডস বনাম বাংলাদেশ, ২৮ অক্টোবর (শনিবার)।
২) পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ, ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার)।
৩) ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ৫ নভেম্বর (রবিবার)।
৪) ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান, ১২ নভেম্বর (রবিবার)।
৫) দ্বিতীয় সেমিফাইনাল, ১৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার)।
তবে বিশ্বকাপ আয়োজন এই প্রথম নয় ইডেনের কাছে। এর আগে ১৯৮৭, ১৯৯৬ এবং ২০১১ সালে ভারতে বিশ্বকাপ হয়েছিল। তিন বছরই ম্যাচ পেয়েছিল ইডেন।
১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ: ১৯৮৭ সালেই প্রথমবার ভারতে বিশ্বকাপের আসর বসেছিল। মোট দুটি ম্যাচ পেয়েছিল ইডেন গার্ডেন্স। গ্রুপ লিগের ম্যাচে ইডেনে খেলেছিল জিম্বাবোয়ে এবং নিউজিল্যান্ড। আর ফাইনাল হয়েছিল কলকাতায়। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ: এই বিশ্বকাপে মাত্র একটিই ম্যাচ পেয়েছিল ইডেন গার্ডেন্স। সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নেমেছিল ভারত। তবে সেই ম্যাচে ইডেনের স্মৃতি ভালো ছিল না। ভারতীয় দলকে উড়িয়ে ফাইনালে চলে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সে বার লঙ্কানরাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
২০১১ সালের বিশ্বকাপ: ২০১১ সালের বিশ্বকাপে চরম মুখ পুড়েছিল ইডেনের। সময়ের মধ্যে মাঠের কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কায় ইডেন থেকে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ সরিয়ে দিয়েছিল আইসিসি। তার ফলে ভারতের কোনও ম্যাচ ইডেনে হয়নি। ইডেনে মোট তিনটি ম্যাচ হয়েছিল - দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস বনাম আয়ারল্যান্ড এবং জিম্বাবোয়ে বনাম কেনিয়া।
তবে ২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর ইডেনের চেহারা পুরো বদলে গেছে। এখন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম আনা হয়েছে। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল। সেইসঙ্গে কয়েকদিনের নোটিশে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আয়োজন করেছিল ইডেন। এখন বৃষ্টি হলে পুরো ইডেনকে ঢেকে দেওয়া যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন