সম্প্রতি ব্র্যান্ড ফিন্যান্স সংস্থার তরফ থেকে আইপিএলের মূল্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে গত বছরের তুলনায় এই বছর ২৮ তাংশ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। যেখানে সবথেকে ধনী ফ্রাঞ্চাইজি হলো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
বিশ্বে ক্রীড়াক্ষেত্রে যে সমস্ত জনপ্রিয় ও ব্যয়বহুল টুর্নামেন্ট হয় তাদের মধ্যে অন্যতম হলো ইন্ডিয়ান সুপার লিগ বা আইপিএল। ২০০৮ সালে শুরু হয় আইপিএল। ১৫ বছর পর সেই টুর্নামেন্টের মূল্য বর্তমানে ১০.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় টাকায় যা ৮৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। যা ২০০৮ সাল থেকে ৪৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্র্যান্ড ফিন্যান্সের পেশ করা তালিকায় দেখা যাচ্ছে গত বছর আইপিএলের মূল্য ছিল ৮.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মার্কেট ভ্যালু ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ৭২২ কোটি টাকারও বেশি।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পরই আছে ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। তাদের ফ্রাঞ্চাইজির মূল্য ৮০.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৬৭০ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে আছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাদের বাজার মূল্য ৬৫২ কোটি টাকা। চতুর্থ স্থানে আছে বিরাট কোহ্লির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এই ফ্রাঞ্চাইজির মূল্য ৬৯.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পঞ্চম স্থানে গুজরাট টাইটান্স। শুবমন গিলের গুজরাটের বাজারমূল্য ৬৫.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পঞ্চম স্থানে দিল্লি ক্যাপিটালস (৬৪.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। রাজস্থান রয়্যালস আছে সপ্তম স্থানে(৬২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। অষ্টম স্থানে আছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (৪৮.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। নবম স্থানে লখনউ (৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং দশম স্থানে আছে পাঞ্জাব কিংস (৪৫.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
ওই সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দর্শকাসন সংখ্যা বৃদ্ধি, ব্যাপক মিডিয়া পার্টনারশিপ, বিজ্ঞাপন দাতাদের সাথে যথযথ চুক্তি আইপিএলের জনপ্রিয়তা এবং ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি করেছে। বর্তমানে আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৮৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন