ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হবে এই আল বাইত স্টেডিয়ামে। ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করবে কাতার। প্রথম ম্যাচ এই স্টেডিয়ামে হওয়ার বেশকিছু কারণ রয়েছে। একনজরে কারণগুলি দেখে নেওয়া যাক।
কাতারের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম এটি। একসাথে ৬০ হাজার দর্শক বসে খেলা দেখতে পারবেন। সকলেই যাতে খেলা উপভোগ করতে পারেন সেই দিকে নজর দিয়ে সিটগুলি দূরত্ব মেপে বসানো হয়েছে। স্টেডিয়ামের ছাদের আকৃতি আয়তাকার। স্টেডিয়ামের বাইরের নকশা দেখলে বেশ ঐতিহ্যশালী লাগবে। কাতার বা মধ্যপ্রাচ্যের যাযাবর শ্রেণীর মানুষেরা বসবাসের জন্য তাঁবু ব্যবহার করতেন। সেই তাঁবুর অনুকরণেই স্টেডিয়ামের বাইরের রূপ দেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের ডিজাইন করেছেন দার আল-হানদাশাহ কোম্পানির আর্কিটেক্টরা
সেন্ট্রাল দোহা থেকে ৩৫ কিমি উত্তরে আল খোর অঞ্চলে অবস্থান আল বাইত স্টেডিয়ামের। ২০১৪ সালে থেকে নবরূপ দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ফুটবল মাঠ, দর্শকাসনের পাশাপাশি সু-পরিকল্পিত পার্কিং ব্যবস্থাও আছে এখানে। একসাথে ৬০০০ গাড়ি, ৩৫০ বাস পার্কিং করা যেতে পারে। ১৫০ পাবলিক বাস, ১০০০টি ট্যাক্সি যাতায়াতের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
বিশ্বকাপের আগে ২০২১ ফিফা আরব কাপের ৫টি ম্যাচ হয়েছিল এই স্টেডিয়ামে। কাতার, বাহারিন, সিরিয়া, তিউনিসিয়া, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং আলজেরিয়ার মধ্যে ম্যাচগুলি হয়েছিল।
মোট ৯টি বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করবে এই স্টেডিয়াম। প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হবে কাতার ও ইকুয়েডর (২০ নভেম্বর)। দ্বিতীয় ম্যাচ হবে মরক্কো ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে (২৩ নভেম্বর)। ইংল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তৃতীয় ম্যাচ হবে ২৫ নভেম্বর। এই স্টেডিয়ামে চতুর্থ ম্যাচ হবে স্পেন বনাম জার্মানি (২৭ নভেম্বর)। পঞ্চম ম্যাচ খেলবে নেদারল্যান্ডস ও কাতার (২৯ নভেম্বর)। কোস্টারিকা ও জার্মানি ষষ্ঠ ম্যাচ খেলবে (১ ডিসেম্বর)। সপ্তম ম্যাচ হবে ৪ ডিসেম্বর, গ্রুপ বি-র প্রথম ও গ্রুপ এ-র দ্বিতীয়ের মধ্যে। অষ্টম ম্যাচ হবে ১০ ডিসেম্বর (কোয়ার্টার ফাইনাল)। নবম ম্যাচটি হবে ১৪ ডিসেম্বর (সেমি ফাইনাল)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন