টোকিও অলিম্পিকে রবিবারের সকালের শুরুটা আশানুরূপ হয়নি ভারতের। অভিষেকেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে কমলপ্রীত কৌর ডিসকাস থ্রোয়ের ফাইনালে পৌঁছালেও এই বিভাগ থেকে ছিটকে গেছেন অভিজ্ঞ সীমা পুনিয়া। পুরুষদের ফ্লাইওয়েট মোকাবিলায় প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে হারতে হয়েছে ফেভারিট অমিত পঙ্ঘালকে। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে অতনু দাসের হারে তিরন্দাজীতেও ভারতের পদক জয়ের আশা শেষ হয়েছে।
২০১৯ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপে রূপো এবং সোনা জয়ী অমিত টোকিওতে নেমেছিলেন বিশ্ব তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে ফেভারিট হিসেবে রিংয়ে নেমেছিলেন তিনি। তবে কলম্বিয়ার য়ুবেরজেন মার্টিনেজের কাছে দাঁড়াতেই পারেননি অমিত। ১-৪ ব্যবধানে শোচনীয় পরাজয়ের মুখ দেখতে হয় তাঁকে।
অন্যদিকে আশা জাগিয়েও হতাশ করলেন অতনু। লন্ডন অলিম্পিক্সের ব্যক্তিগত বিভাগে এবং চলতি টোকিও অলিম্পিক্সের দলগত বিভাগে সোনা জয়ী জিনহিয়েককে হারিয়ে তিরন্দাজীর ব্যক্তিগত ইভেন্টের প্রি-কোয়ার্টারে জায়গা করে নিয়েছিলেন অতনু দাস। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর হাত ধরে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলো দেশবাসী। তবে প্রি কোয়ার্টারে জাপানের তাকাহারু ফুরুকাওয়ার কাছে ৬-৪ ব্যবধানে হেরে পদক জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় অতনুর।
তবে সকালের শুরুতেই মহিলাদের ডিসকাস থ্রোয়ের ফাইনালে পৌঁছালেন ভারতীয় অ্যাথলিট কমলপ্রীত কৌর। শনিবার মহিলাদের ডিসকাস থ্রোয়ে দুই গ্রুপ থেকে দুই ভারতীয় কন্যা খেলতে নেমেছিলেন। গ্রুপ এ থেকে সীমা পুনিয়া ও গ্রুপ বি থেকে কমলপ্রীত কৌর। কমলপ্রীতের প্রথম থ্রোটি ৬০ মিটারের উর্ধ্বে থাকলেও সরাসরি ফাইনালে প্রয়োজনীয় ৬৪ মিটারের মার্ক স্পর্শ করতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় থ্রোয়েও একটুর জন্য হাতছাড়া হয়ে যায় সেই সুযোগ। কমলপ্রীত ৬৩.৯৭ মিটার ডিসকাস ছুঁড়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় থ্রোতে ৬৪ মিটার ডিসকাস ছুঁড়ে সরাসরি ফাইনালে উঠে যান প্রথমবার অলিম্পিক্সে অংশ নেওয়া ২৫ বছরের এই পাঞ্জাব কন্যা।
সার্বিকভাবে দ্বিতীয় স্থানে নিজের লড়াই শেষ করেন কমলপ্রীত। অপরদিকে গ্রুপ এ থেকে নামা সীমা পুনিয়া গ্রুপের ৬ নম্বরে থেকে নিজের খেলা শেষ করেন। সবমিলিয়ে তাঁর অবস্থান ১৬ নম্বরে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন