ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে আয়োজক জার্মানি। হারের পরই নিজের অবসরের ঘোষণা করেন ৩৪ বছরের টনি ক্রুজ।
ম্যাচের পর টনি ক্রুজ বলেন, "আমরা জয়ের অনেক কাছেই ছিলাম। শুধু স্পেনের শেষ গোলটা সবকিছু এলোমেলো করে দিল। সত্যি কথা বলতে এই হারের পর মনে হচ্ছে টুর্নামেন্ট এখানেই শেষ হয়ে গেল। আমি চেয়েছিলাম সবাই একসাথে লড়াই করে ট্রফি জিতব। আমাদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল"।
তিনি আরও জানান, "আগের থেকে আমরা অনেক ভালো খেলেছি। দলের জন্য সাহায্য করতে পেরে আমি খুব খুশি। ফুটবলে যাতে জার্মানি ফের স্বপ্ন দেখতে পারে সেই কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। আর আমি এটাও জানি যে জার্মান দল আগামী দিনে এই ভাবেই খেলতে থাকবে"।
জার্মান কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যান বলেন, "টনি ক্রুজ জার্মানির অন্যরম সেরা খেলোয়াড়। চিরকাল তাঁকে সকলে মনে রাখবে। আমরা শুধু তাঁর যে সাফল্য সেটাই দেখি। দলের কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি কীভাবে দায়িত্ব পালন করেন, একজন ব্যক্তি হিসেবে অন্য ব্যক্তির সাথে কীভাবে ব্যবহার করেন, পরিবারের সাথে কেমন আচরণ করেন তা আমরা জানি। একজন ব্যক্তি হিসেবে ক্রুজ আমার কাছে অনন্য। তাঁর ৬টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের থেকেও তাঁর ব্যক্তিত্ব আমার কাছে বেশি দামি"।
২০১০ সালে জার্মানির জাতীয় দলে অভিষেক হয় মিডফিল্ডার টনি ক্রুজের। জাতীয় দলের হয়ে ১১৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গোল রয়েছে ১৭টি। জার্মানি অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়েও খেলেছিলেন ক্রুজ। জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাব কেরিয়ারেও তিনি সফল। ক্লাব কেরিয়ারে রিয়েল মাদ্রিদের হয়ে ৩০৬টি ম্যাচ খেলেছেন। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলেছেন ১৩০টি ম্যাচ।
দেশের হয়ে ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ক্রুজ। রিয়েল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে একগুচ্ছ ট্রফি জিতেছেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে ৬টি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৪টি লা লিগা, ৩টি বুন্দেশলিগা, ৩টি জার্মান কাপ এবং ১টি কোপা দেল রে। ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে হারের পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু জার্মানির বর্তমান কোচের অনুরোধে নিজের অবসর ভেঙে ফের জার্মানি টিমে যোগ দেন ক্রুজ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন