গত কয়েক বছরে ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বা IFA-তে শাসক দলের নেতাদের আধিপত্য লক্ষ্য করা গেছে। তা অভিষেক ব্যানার্জি, সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস এবং মদন মিত্রের মতো তৃণমূল নেতাদের ক্লাবকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হোক বা অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসকে আইএফএ-র সহ সভাপতি করা - যাই হোক না কেন। তৃণমূল নেতাদের বাড়তি সুবিধা কি আদৌ ফুটবলের স্বার্থে নাকি পুরোটাই ক্ষমতার জন্য? প্রশ্ন তুলছেন অভিজ্ঞ ফুটবল কর্মকর্তারা।
IFA-তে নতুন সংযোজন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। আইএফএ-র নতুন গভর্নিং বডি কমিটির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন শান্তনু সেন। কলকাতা লিগের পঞ্চম ডিভিশনের ক্লাব বেলেঘাটা বালক বৃন্দর প্রতিনিধি হিসেবে আইএফএ-র গভর্নিং বডিতে এলেন তিনি।
এরপরই প্রশ্ন উঠছে আদৌ কোনওদিন ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শান্তনু সেন? এবিষয়ে শান্তুনু বলেন, "আমি ফুটবলের ভক্ত। আমি মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সদস্যও। ফুটবলের জন্য কিছু করতে পারলে আমার ভালো লাগবে। ফুটবলের জন্য কাজ করতে চাই।"
আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত এই প্রসঙ্গে জানান, 'কোথাও কী লেখা আছে রাজনীতির লোকেরা ফুটবলের জন্য কাজ করতে পারবেন না? ফুটবলটা বাংলার মানুষের কাছে একটা ভালোবাসা। যদি কেউ ব্যস্ত সময় ফুটবলের জন্য দেয় খারাপ কী? সাধুবাদ দেওয়া উচিত।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইএফএ কর্মী জানান, আরও তৃণমূল নেতা আসবে আইএফএতে। তৃণমূলের জনজোয়ার চলছে এখানে।
শান্তনু ছাড়াও আইএফএ-র নতুন গভর্নিং বডিতে এসেছেন মোহনবাগান ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত। ইস্টবেঙ্গল থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন দীপঙ্কর চক্রবর্তী ও মহামেডান থেকে এলেন সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি। সিএবির প্রাক্তন সভাপতি ও আইপিএলের বর্তমান কাউন্সিল মেম্বার অভিষেক ডালমিয়াও এলেন রাজস্থান ক্লাব থেকে। আগামী ২০ জুন সুবর্ণ বণিক হলে আইএফএর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন