লেভনডস্কিকে দলে নিয়েও বায়ার্নের সামনে দাঁড়াতে পারলো না বার্সেলোনা। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জার্মান জায়ান্টদের কাছে ০-২ গোল হারলো কাতালান ক্লাবটি। নিজেদের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে লুকাস হার্নান্দেজ এবং লেরয় সানের গোলে জয় তুলে নিয়েছেন জুলিয়ান নাগেলসম্যানরা।উ
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে বায়ার্নের বিপক্ষে বার্সা শেষ ম্যাচ জিতেছে ২০১৫ সালে। তার আগের জয়টি এসেছিল ২০০৯ সালে। এই ম্যাচে কিক অফের আগে বায়ার্ন শেষ চার ম্যাচ বার্সার বিপক্ষে জিতেছিল ৩-০, ৩-০, ৮-২, ৩-২ ব্যবধানে। মঙ্গলবার রাতে সেই ধারা বজায় রেখেই জয় তুলে নিলো বাভেরিয়ানরা।
এদিন সফরকারী বার্সেলোনা প্রথমার্ধে বেশ চাপেই রেখেছিল বার্সাকে। প্রথম ৩০ মিনিটে বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত সুযোগও তৈরি করে জাভির দল। গাভি, লেভনডস্কি, দেম্বেলে, রাফিনহারা প্রথমার্ধেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে দিতে পারতো। তবে সকলেই লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। প্রথমার্ধে ছন্দ হারালেও দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের চিরাচরিত ছন্দ খুঁজে নেয় বায়ার্ন। এরপর অসহায় লাগতে শুরু করে বার্সাকে।
ম্যাচের ৫০ মিনিটের মাথায় গোয়ের্তজার নেওয়া শট টের স্টেগান প্রতিরোধ করলেও কর্নার পায় বায়ার্ন। সাবিটজারজর নেওয়া সেই কর্নার থেকে হেডে গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন লুকাস হার্নান্দেজ। ঘরের মাঠে প্রথম গোল পাওয়ার সাথে সাথে আক্রমণে ঝাঁপাতে থাকে বায়ার্ন মিউনিখ। নিজেদের অতিপরিচিত প্রেসিং ফুটবলে নাজেহাল করে তোলে বার্সাকে।
প্রথম গোলের ঠিক মিনিট তিনেক বাদেই দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় তারা। মাঝ মাঠে বল পেয়ে বার্সার রক্ষণভাগের দিকে এগিয়ে যান মুসিয়ালা। বার্সা ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে সামনে রান নেওয়া সানেকে পাস দেন তিনি। সানে সুযোগ নষ্ট করেননি। দুই সেন্টার-ব্যাকের মাঝ দিয়ে দৌড়ে গিয়ে সহজেই গোল করে দেন এই জার্মান মিডফিল্ডার। পেদ্রি-লেভনডস্কিরা এরপর অনেক চেষ্টা চালান গোল পরিশোধের। তবে ব্যর্থ হন।
শেষ পর্যন্ত এই লীড ধরে রেখেই জয় তুলে নেয় বায়ার্ন। গ্রুপ পর্বে এই দুই দল ফের মুখোমুখি হবে ২৭ শে আগস্ট। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বার্সার ঘরের মাঠ ন্যূ ক্যাম্পে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন