স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে সুইডেনের ক্লাব মালমো এফএফকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেলসি। তবে বড় জয় পেলেও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের এই ম্যাচে বড় ধাক্কা এসেছে ব্লুজদের শিবিরে। প্রথমার্ধেই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় চেলসির বেলজিয়ান স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু এবং জার্মান ফরোয়ার্ড টিমো ওয়ের্নারকে।
ম্যাচের ১৯ মিনিটেই ল্যাসে নিয়েলসনের কড়া ট্যাকেলে গোড়ালিতে চোট পান লুকাকু। ২৩ মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ৪৪ মিনিটে আবার মাংস পেশীতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন টিমো ওয়ের্নার। চেলসি তাদের ঘরের মাঠে এদিন শুরুর ৯ মিনিটেই এগিয়ে যায়। থিয়াগো সিলভার পাস থেকে ব্লুজদের এগিয়ে দেন আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন।
২১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে চেলসির হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জর্জিনহো। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৮ মিনিটে লুকাকুর বদলি হিসেবে নামা জার্মান তারকা কাই হাভার্টেজ চেলসিকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন। ৫৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে মালমোর কফিনে শেষ পেরকটি পুঁতে দেন জর্জিনহো।
চ্যাম্পিয়নস লীগের অন্য এক ম্যাচে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ ৪-০ গোলে হারিয়েছে বেনফিকাকে। ম্যাচের ৭০ মিনিট পর্যন্ত ছিলো সমতা। প্রথমার্ধে দুই দল সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। দুই দলের গোলরক্ষক বড় ভূমিকা নেয় গোল সেভে। বেনফিকা তাদের ঘরের মাঠে বায়ার্নকে ৭০ মিনিট পর্যন্ত বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়। তারপর আর সম্ভব হয়নি।
৭০ মিনিটে অনবদ্য এক ফ্রী কিকে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন জার্মান ফরোয়ার্ড লেরয় সানে। বায়ার্ন ঝড় তোলে শেষ মুহূর্তে। ম্যাচের ৮০ মিনিটের আগে পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর ৮৪ মিনিটের শেষে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় বাভেরিয়ানরা। মাত্র ৪ মিনিটের ঝড়েই বেনফিকা ম্যাচে আর দাঁড়াতেই পারলো না।
৮০ মিনিটে এভারটনের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান বাড়ে বায়ার্নের। এরপর ৮২ মিনিটে রবার্ট লেভনডস্কি এবং ৮৪ মিনিটে লেরয় সানের দ্বিতীয় গোলে পর্তুগীজ ক্লাবটির বিরুদ্ধে বড় জয় অর্জন করে বায়ার্ন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন