ইতিহাস রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষে। চার দশকে কোনো ইউরোপিয়ান লীগের ফাইনাল হারেনি লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। ২০২২ সালে ইউরোপীয়ন ক্লাব টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় শিরোপার ফাইনালে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। প্রতিপক্ষ প্রিমিয়ার লীগের পরাশক্তি লিভারপুল। ২০১৮ সালে ইউসিএলের ফাইনালে এই লিভারপুলই হারের মুখ দেখেছিলো রিয়ালের বিপক্ষে। এবার সেই হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ য়ুর্গেন ক্লপের সামনে। উল্লেখ্য, রিয়াল মাদ্রিদ সর্বশেষ ইউরোপীয়ন লীগের ফাইনাল হেরেছিলো ৪১ বছর আগে। সেবারের প্রতিপক্ষও ছিলো লিভারপুল।
আজ ভারতীয় সময় রাত ১২ টা ৩০ মিনিটে প্যারিসে ফাইনালের লড়াইয়ে নামছে লিভারপুল এবং রিয়াল। শেষ পাঁচ মরশুমে দুই দল দ্বিতীয়বার ফাইনালের লড়াইয়ে। প্রথমবার জিনেদিন জিদানের ব্রিগেড ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, গ্যারাথ বেল, মার্সেলোরা সহজেই হারিয়েছিলো অলরেডসদের। তবে এবার লড়াই আশা করা হচ্ছে সমানে সমানে হবে। রিয়ালের হয়ে যে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন করিম বেনজেমা, তাঁকে আটকানোই যে মূল টার্গেট হবে লিভারপুলের তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে ভিনিসিয়াস বা রদ্রিগোও দেখিয়ে যাচ্ছেন দাপট। অন্যদিকে মহম্মদ সালাহ, সাদিও মানে, জর্ডান হেন্ডারসনরা পুরোনো হারের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে।
ফাইনালের আগে রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কার্তোয়া বলেছেন, "লিভারপুলের সাথে আমরা এর মধ্যেই একটা ফাইনাল খেলেছি। আর রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনাল খেললেই জেতে। তাই ইতিহাস আমাদের পক্ষে।"
লিভারপুলের জার্মান কোচ য়ুর্গেন ক্লপ কিক অফের আগে বললেন, "প্রতিশোধের কথা মাথায় রাখলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো না। সেই ম্যাচের ভিডিও বারবার দেখে লাভ নেই। ইতিহাস রিয়ালের পক্ষে আমি জানি, তবে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবো।"
দুই পোড় খাওয়া কোচ কার্লো আনচেলত্তি এবং য়ুর্গেন ক্লপের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবেন তা আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন