প্রথম লেগে সান সিরোতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে এক পা বাড়িয়ে রেখেছিল ইন্টার মিলান। গতকাল দিবাগত রাতে ফের একবার সানসিরো জয় করলো ইন্টার। এসি মিলানকে কামব্যাকের কোনো সুযোগ না দিয়েই ১-০ ব্যবধানে দ্বিতীয় লেগ জিতে নিলো সিমোনে ইনজাঘির দল। ৩-০ এগ্রিগেটে ফাইনালে পৌঁছালো ইন্টার।
২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে ইন্টার মিলান। সেবার জোসে মরিনহোর হাত ধরে চ্যাম্পিয়নস লীগের খেতাব জিতেছিল ইন্টার মিলান। ফাইনালে হারিয়েছিল জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখকে। দুই মাস আগেও বরখাস্ত হওয়া সিমোনে ইনজাঘির হাত ধরে ফের একবার ইউরোপ সেরা হওয়ার পথে নেরাজ্জুরিরা।
সান সিরোতে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ছিল এসি মিলানের হোম ম্যাচ। যেখানে দাপটের সঙ্গে জিতে এগিয়ে গিয়েছিল ইন্টার। একই মাঠে গতরাতে নিজেদের হোম ম্যাচে সিমোনে ইনজাঘির দল ফের একবার পরাস্ত করলো এসি মিলানকে। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে রোমেলু লুকাকুর সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে দারুণ এক শটে ইন্টারকে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লউটারো মার্টিনেজ। ওখানেই শেষ হয়ে যায় মিলানের আশা।
এই মরশুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে চারবার মিলান ডার্বিতে এসি মিলানকে হারালো হারাল ইন্টার মিলান। এর আগে এমন সৌভাগ্য আরও একবার হয়েছিল ইন্টারের, ১৯৭৩-৭৪ মরশুমে।
আগামী ১০ জুন ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক স্টেডিয়ামের সেই ফাইনালে ইন্টারের প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ম্যানচেস্টার সিটি। আজ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের অপর সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামছে ম্যানচেস্টার সিটি এবং রিয়াল মাদ্রিদ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন