বিশ্বকাপে ওয়েলসের বিরুদ্ধে ড্র করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে গোল করেন টিমোথি ওয়াহ। পরে অবশ্য পেনাল্টিতে গোল পরিশোধ করেন ওয়েলসের তারকা গ্যারেথ বেল। তবে মার্কিন গোলদাতার আসল পরিচয় জানলে অনেকেই চমকে উঠবেন। তিনি হলেন পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ লাইবেরিয়ার রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াহ-র পুত্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন টিমোথি ওয়াহ। তাঁর মা জ্যামাইকার কন্যা। মায়ের নাগরিকত্ব বিচার করলে তিনি জ্যামাইকার হয়ে খেলতেই পারতেন কিন্তু সেটা করলেন না। যে দেশে বেড়ে ওঠা সেই দেশের হয়েই ফুটবল খেলবেন তা ছোটো থেকেই ঠিক করে ফেলেছিলেন।
তাঁর বাবা কেবল রাষ্ট্রপতিই নন। এক সময়ের ইউরোপের বিখ্যাত ফুটবলারও ছিলেন। একমাত্র আফ্রিকান প্লেয়ার হিসেবে ব্যালন ডি’অরও জেতেন। ১৯৮১ সাল থেকে মূলত নিজের ফুটবল জীবন শুরু করেন ইয়ং সার্ভাইবর্স ক্লাবের হয়ে। এরপর ১৯৮৫-৮৬ সাল পর্যন্ত খেলেন বঙ্গ রেঞ্জ ইউনাইটেডের হয়ে। ১৯৮৮ পর্যন্ত আফ্রিকার বিভিন্ন ক্লাবে খেলেন। তাঁর প্রতিভা দেখে ডাক পান ইউরোপিয়ান ক্লাব মোনাকোর হয়ে খেলার জন্য। ১৯৮৮-১৯৯২ সাল পর্যন্ত মোনাকোর হয়ে ১০৩টে ম্যাচ খেলেন। গোল করেছিলেন ৪৭টি।
পিএসজি-র হয়ে ৯৬ ম্যাচে করেন ৩২টি গোল। ক্লাব কেরিয়ারে সব থেকে বেশি সময় কাটিয়েছিলেন এসি মিলানে (১১৪ ম্যাচে ৪৬ গোল) চেলসির হয়েও মাঠে নেমেছিলেন জর্জ ওয়াহ। মাত্র ৭টি ম্যাচ খেলেছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে। ২০০১-২০০৩ সাল পর্যন্ত খেলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ক্লাব আল যাজিরা। ১৯৮৬-২০০২ পর্যন্ত লাইবেরিয়ার নিয়মিত স্ট্রাইকার ছিলেন তিনি।
ফুটবল জীবনে ইতি টেনে তিনি থেমে থাকেননি। দেশের রাজনীতিতেও সফল হয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে তিনি লাইবেরিয়ার ২৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। দেশ আলাদা হলেও ছেলের গোলের দিন সস্ত্রীক স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন জর্জ ওয়াহ। ছেলে যাতে ফুটবল জীবনে আরও উন্নতি লাভ করে সেটাই তিনি চান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন