যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের মঞ্চে ইতিহাস গড়লেন কার্লোস আলকারাজ। প্রথমবার গ্র্যান্ডস্ল্যামের ফাইনালে উঠেই ক্যাসপের রুডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন তো হলেনই, সেইসঙ্গে ১৯ বর্ষীয় স্প্যানিশ তরুণ সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে এটিপি র্যাংকিং-এ শীর্ষস্থান দখল করলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে তথাকথিত বড় মুখ ছিল না। লড়াই ছিল দুই তরুণের। একজনের বয়স ২৩ এবং অন্যজনের ১৯। দুই তরুণ খেতাব জয়ের জন্য লড়াই করলেন নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে। চার সেটের লড়াইয়ে শেষে নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের আনন্দে মাতলেন রাফায়েল নাদালের দেশের তরুণ তারকা কার্লোস আলকারাজ। নরওয়ের কাসপের রুড দ্বিতীয় সেটে সমতা ফিরে পেয়েও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না। ৩ ঘন্টা ২০ মিনিটের লড়াইয়ের পর ম্যাচের ফলাফল আলকারাজের পক্ষে ৬-৪, ২-৬, ৭-৬ (৭-১), ৬-৩।
চলতি বছরের ফরাসী ওপেনের ফাইনালেও উঠেছিলেন ক্যাসপের রুড। তবে সেখানেও রাফায়েল নাদালের কাছে হেরে যান তিনি। ইউএস ওপেনেও স্প্যানিশ খেলোয়াড়ের কাছে হারলেন। আর্থার অ্যাশে এদিন ম্যাচটা শুরু করেছিলেন আলকারাজ নিজের নাম দিয়েই। প্রথম সেটে ৬-৪ ব্যবধানে রুডকে হারিয়ে দেন তিনি। দ্বিতীয় সেটে অবশ্য নরওয়ের খেলোয়াড় সমতা ফিরে পান। আলকারাজককে কার্যত দাঁড়াতে না দিয়েই ২-৬ ব্যবধানে সেট জিতে নেন রুড। তৃতীয় সেটে লড়াই চলে কাঁটায় কাঁটায়। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে সেট জিতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যান আলকারাজ। আর চতুর্থ সেট তুলনামূলক ভাবে সহজেই জিতে নেন তিনি।
খেতাব জয়ের আনন্দে এদিন চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না আলকারাজ। এই সাফল্যের পর তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রতিপক্ষ রুড থেকে শুরু করে বহু টেনিস তারকা। ম্যাচ জয়ের পর উচ্ছ্বসিত আলকারাজ বলেছেন, "ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম , একদিন এই জায়গায় পৌঁছাব। এই দিনটা দেখার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছি। কেমন লাগছে সেটা বলে বোঝাতে পারব না।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন