ইউ এস ওপেন টেনিসে ইতিহাস তৈরি করলেন ব্রিটেনের ১৮ বছর বয়সী টেনিস তারকা এম্মা রাডুকানু। ফাইনালে তিনি পরাজিত করলেন ১৯ বছর বয়সী কানাডিয়ান তারকা লায়লা ফার্নান্ডেজকে। বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ ১৫০ তম স্থানে থাকা রাডুকানু এদিন হারালেন ৭৩ তম র্যাঙ্কিং-এ থাকা ফারনান্ডেজকে। এর আগে ১৯৯৯ ইউ এস ওপেন ফাইনালে ১৭ বছর বয়সী সেরেনা উইলিয়ামস পরাজিত করেছিলেন ১৮ বছর বয়সী মারটিনা হিঙ্গিসকে।
দীর্ঘ ৪৪ বছর পর কোনো ব্রিটিশ তারকা গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জিতলেন। এর আগে ১৯৭৭ সালে ভার্জিনিয়া ওয়াদে উইম্বলডন সিঙ্গলস খেতাব জিতেছিলেন। তারও আগে ১৯৬৮ সালে ইউ এস ওপেন খেতাব জিতেছিলেন ওয়াদে। এরপর দীর্ঘ সময়ে আর কোনো ব্রিটিশ তারকা কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতায় সিঙ্গলস খেতাব জেতেননি।
এদিনের ইউ এস ওপেন ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেই দুই অবাছাই খেলোয়াড়। লায়লা ফার্নান্ডেজকে ৬-৪, ৬-৩-এ পরাজিত করে খেতাব জয় করলেন এম্মা। ১৯৯৯ সালের পর তিনিই সর্বকনিষ্ঠ ইউ এস ওপেন চ্যাম্পিয়ন। একই সঙ্গে তিনি ছুঁলেন ২০১৪ সালে করা সেরেনা উইলিয়ামসের রেকর্ড। যে বছর কোনো সেট না হেরে খেতাব জিতেছিলেন সেরেনা। এবারের ইউ এস ওপেন টুর্নামেন্টে কোনো সেট হারেননি রাডুকানু।
এদিনের খেলায় প্রথম থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী লায়লাকে দাঁড়াতে দেননি রাডুকানু। ম্যাচে লায়লা প্রথম সার্ভিস গেমই গড়ায় ব্রেক পয়েন্টে। পাঁচবার ব্রেক পয়েন্ট বাঁচানোর পর রাডুকানুর কাছে পরাজয় স্বীকার করেন লীলে। ৫৮ মিনিটে মীমাংসা হয় প্রথম সেটের।
প্রথম সেটে ৬-৪-এ জয় পাবার পর দ্বিতীয় সেটে আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন রাডুকানু। এই সেটে তিনবার ব্রেক পয়েন্ট বাঁচিয়ে একসময় ২-১-এ এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ৬-৩-এ দ্বিতীয় সেট ছিনিয়ে নেন রাডুকানু।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন