মণীশ পান্ডেদের হারিয়েও বিজয় হাজারে ট্রফির নক-আউটের টিকিট পাওয়া হলো না বাংলার। বাধা হয়ে দাঁড়ালো রান রেট। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে পুদুচেরির কাছে হারের ধাক্কাই সুদীপ চট্টোপাধ্যায়দের নক আউটের দৌড় থেকে ছিটকে ফেললো। অন্যদিকে গ্রুপ লীগের শেষ ম্যাচে বাংলার কাছে হেরেও নক আউটে পৌঁছে গেলো কর্ণাটক। এলিট গ্রুপ বি-১ থেকে প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গিয়েছিলো তামিলনাড়ু। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টারে পৌঁছালো কর্ণাটক।
এলিট গ্রুপ বি-১ থেকে পয়েন্ট তালিকার প্রথম চার দলই পাঁচ ম্যাচে তিনটি করে জয় তুলে নিয়েছে। শীর্ষে থাকা তামিলনাড়ু, দ্বিতীয় স্থানে থাকা কর্ণাটক, তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলা এবং চতুর্থ স্থানে শেষ করা পুদুচেরির প্রত্যেকের পয়েন্টই ১২। পঞ্চম স্থানে শেষ করা বরোদার পয়েন্ট ৮ এবং শেষে থাকা মুম্বইয়ের পয়েন্ট ৪। শীর্ষ চার দলের পয়েন্ট একই হলেও রান রেটের নিরিখে কোয়ার্টারে পৌঁছালো তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটক।
মঙ্গলবার টসে জিতে প্রথম দফায় ব্যাট করতে নামেকর্ণাটক। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান সংগ্রহ করেন মণীশ পান্ডেরা। কর্ণাটকের হয়ে বড় ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মণীশ পান্ডে। ৮৫ বলে ৯০ রান করেন তিনি। এছাড়াও রোহন কদম(৩৭) এবং প্রবীণ দুবে(৩৭*)গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। বাংলার প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৪৮ রানের বিনিময়ে ৪ টি উইকেট তুলে নেন। জোড়া উইকেট নেয় ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় এবং একটি করে উইকেট নেয় আকাশ দীপ ও শাহবাজ আহমেদ।
কর্ণাটকের দেওয়া ২৫৩ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে নেমে ৪৮.৩ ওভারে জয় তুলে নেয় বাংলা। অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায় খেলেন ৬৩ রানের ইনিংস। অভিষেক দাস ৫৮ রান করেন। ঋত্বিক রায়চৌধুরীর ব্যাটে আসে ৪৯ রান। শাহবাজ আহমেদ ২৬* রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন