অলিম্পিক্স কুস্তির ফাইনাল থেকে বাদ দেওয়া হয় ভীনেশ ফোগাটকে। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ভারতীয় ক্রীড়া মহলে। অলিম্পিক্স কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী ভারতীয় বক্সার বিজেন্দ্র সিং এবং ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়াল। এই সিদ্ধান্তকে নজিরবিহীন বলে জানালেন তাঁরা।
সকলেই ভেবেছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে অলিম্পিক্সে দেশের হয়ে সোনা জিতবেন ভীনেশ। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণ হল না। ১০০ গ্রাম ওজন বেশি থাকায় তাঁকে ডিসকোয়ালিফাই ঘোষণা করে অলিম্পিক্স কমিটি। ফলে রুপোর পদকও হাতছাড়া হয় ভীনেশের। আর কমিটির সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ বিজেন্দ্র সিংরা।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বিজেন্দ্র সিং জানান, "এটি নাশকতা হতে পারে। মাত্র ১০০ গ্রাম, মজা করা হচ্ছে যেন। আমরা ক্রীড়াবিদরা রাতারাতি ৫ থেকে ৬ কেজি ওজন কমাতে পারি। এটা নিঃসন্দেহে কঠিন কিন্তু আমরা জানি কিভাবে আমাদের ক্ষুধা, তৃষ্ণা নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এবং চরম পরিশ্রম করতে হয়।"
তিনি জানান, "একজন ক্রীড়াবিদ অতিরিক্ত ওজনের হলে কিছু গ্রাম ওজন কমানোর জন্য তাঁকে স্টিম বাথ, সনা, দৌড় এই সমস্ত কিছু করানো হয়। যেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে তা খুবই রুঢ় সিদ্ধান্ত। আমাদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত"।
"নাশকতা মানে আমি বলতে চাইছি এমন কিছু লোক যারা ভারতকে একটি স্পোর্টিং ন্যাশন হিসেবে দেখতে খুশি নয়। এই মেয়েটি এত কিছুর মধ্য দিয়ে গেছে, আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। সে আর কী করতে পারত? আর কোন পরীক্ষা দেবে?", বলেন বক্সার।
তিনি জানান, "ভারতীয় অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের আবেদন করা উচিত। ফাইনালে একজন প্লেয়ারকে এভাবে অযোগ্য ঘোষণা করা নজিরবিহীন। ১০০ গ্রাম ওজন কিছুই নয়। বক্সারদের ওজন কমানোর জন্য এক ঘন্টার বেশি সময় দেওয়া হয়"।
ভীনেশের ঘটনায় হতাশ হয়েছেন আরেক অলিম্পিক পদকজয়ী ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার সাইনা নেওয়ালও। তিনি বলেন, "শুধু আমি না, গোট দেশ হতাশ। একজন অ্যাথলিট হিসেবে এই যন্ত্রণা আমি জানি। সে একজন যোদ্ধা। বার বার প্রমাণ করেছে। ভবিষ্যতেও করবে। কারণ ভীনেশকে আমি দেখেছি, ও নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে লড়াই করে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন