নিজের খেল রত্ন এবং অর্জুন পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগট। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে গিয়ে ফেরত দেবার ইচ্ছে থাকলেও পুলিশি বাধায় সেখানে পৌঁছতে পারেননি ফোগট। এরপর দিল্লীর কর্তব্য পথে রাস্তাতেই রেখে এলেন নিজের দুই খেতাব হিসেবে পাওয়া পুরস্কার।
গত মঙ্গলবারেই নিজের পুরস্কার সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেবার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফোগট। এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক বিজয়ী ফোগট জানান, যখন দেশের কুস্তিগীররা ন্যায়ের জন্য লড়াই করছেন তখন এইসব সম্মান মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতেও জানান কুস্তিগীর।
গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ফোগট জানান, তাঁদের জীবন ‘শৌখিন সরকারি বিজ্ঞাপন’-এর মত নয়। যেখানে মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের কথা বলা হয়।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার খেতাব ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে যেতে চাইলেও তাঁকে পিএমও যেতে আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে কর্তব্য পথে রাস্তাতেই তিনি তাঁর পদক রেখে দেন। পরে দিল্লি পুলিশ এসে সেই স্মারক তুলে নিয়ে যায়।
বছরের শুরু থেকেই ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ও বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে সরব হয়েছিলেন ভিনেশ ফোগট, সাক্ষী মালিক এবং বজরঙ পুনিয়া। সম্প্রতি কুস্তি ফেডারেশনের (WFI) সভাপতি পদে ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিং-এর নির্বাচনের পর ফের প্রতিবাদে সরব হন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ী সাক্ষী মালিক, বজরঙ পুনিয়া সহ একাধিক কুস্তিগীর। যে প্রতিবাদে সামিল হন ভিনেশও।
সঞ্জয় সিং-এর নির্বাচনের পরেই কুস্তি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন সাক্ষী মালিক। যদিও সঞ্জয় সিং-এর নির্বাচনের পরে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় পুরো প্যানেলকেই সাসপেন্ড করে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। মূলত নির্বাচনে সংস্থার নিয়ম না মানাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের নির্দেশে কুস্তি ফেডারেশনের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালানোর জন্য ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে তিন সদস্যের এক অ্যাডহক কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন