আসন্ন মরসুমে তিনিই সম্ভবত একমাত্র ফুটবলার হতে চলেছেন, যিনি কাতার বিশ্বকাপে খেলেছেন। তাই তাঁর দিকে যে সবার নজর থাকবে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দু’বছর আগে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা জনি কাউকোকে দলে নিয়ে চমক দিয়েছিল সবুজ-মেরুন বাহিনী। গত মরশুমের আগে রাশিয়ায় বিশ্বকাপে খেলা দিমিত্রি পেট্রাতোসকে আনে তারা। এবার কাতার বিশ্বকাপে খেলা জেসন কামিংসকে নিয়ে এসে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
তিন দিন আগেই কলকাতায় পা রেখেছেন অস্ট্রেলীয় তারকা। ভোররাতে বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রচুর মোহনবাগান সমর্থক হাজির ছিলেন। এই দৃশ্য দেখে রীতিমতো উজ্জীবিত কামিংস।
মঙ্গলবার কলকাতায় মোহনবাগান এসজি-র নতুন জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "প্রতি ম্যাচেই জেতার চেষ্টা করব। স্ট্রাইকার হিসেবে গোল করা আমার খুবই পছন্দের কাজ। কলকাতা ডার্বিতে খেলার অপেক্ষায় রয়েছি। শুনেছি, এখানে এটাই সবচেয়ে বড় ম্যাচ। সমর্থকেরা ক্লাবের জন্য পাগল। আমি অবশ্যই ভালো কিছু করার চেষ্টা করব এবং প্রচুর গোলও করতে হবে আমাকে"।
সমর্থকদেরও প্রশংসা করে তিনি বলেন, "এখানে আসার আগে প্রচুর ভিডিও দেখেছি এবং এখানকার ফ্যানদের দেখে আমি খুবই অবাক হয়েছি। ওরা সত্যিই প্রচণ্ড আবেগপ্রবণ। আমার এখানে এসে এত বড়ো ক্লাবে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য এটাও অন্যতম কারণ"।
কলকাতা ডার্বি নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহী ২৭ বছর বয়সী কামিংস। তিনি বলেন, "এখানকার ডার্বির ভিডিও দেখেছি। বড়ো বড়ো ম্যাচে খেলতেই ভাল লাগে আমার। তাই এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি। আমার কেরিয়ারে এক নতুন অধ্যায়। চেষ্টা করব, যাতে কমফর্ট জোনের বাইরে গিয়েও খেলতে পারি"।
মোহনবাগান এসজি-তে সই করার আগেও আইএসএল সম্পর্কে জানতেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার বলেন, "আইএসএল সত্যিই বড় লিগ এবং প্রচুর লোকে দেখে এই লিগ। আমার এখানে আসার অন্যতম কারণ এটাই। ভোর তিনটেয় কলকাতায় পৌঁছে দেখি প্রচুর সমর্থক আমাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছে! যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই প্রচুর ভালবাসা পাচ্ছি। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন