বিসিসিআই-এর সভাপতির পদে যে তিনি আর থাকছেন না তা নিশ্চিত। কাজ চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন প্রধান হিসেবেই। তবে অন্য যে সমস্ত সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন ছিল তা তিনি পাননি। আইপিএলের চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা তিনি সোজাসুজি প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রশাসকের চেয়ার হারানো সৌরভ কলকাতায় ফিরে বৃহস্পতিবার প্রথমবার মুখ খুললেন। নিজের শহরে বসে মহারাজ ইঙ্গিত দিলেন নতুন ইনিংসের। তাঁর কথায় স্পষ্ট যে তিনি এবার তিনি অন্য কিছু করতে চলেছেন।
বৃহস্পতিবার বন্ধন ব্যাংকের একটি অনুষ্ঠানে সৌরভ বলেন, "জীবনে আপনি যা-ই করুন না কেন সেরা দিনগুলি হল যখন আপনি ভারতের হয়ে খেলেন। আমি বিসিসিআইয়ের সভাপতি হয়েছি এবং আরও বড় কিছু করবো। আপনি চিরকালের জন্য একজন খেলোয়াড় হতে পারবেন না, আপনি চিরকালের জন্য প্রশাসক হতে পারবেন না। দুই ক্ষেত্রেই দারুণ লেগেছে।"
সৌরভ আরও বলেন,"আপনি একদিনে আম্বানি বা নরেন্দ্র মোদী হতে পারবেন না। সেখানে যেতে আপনাকে কয়েক মাস এবং বছর ধরে কাজ করতে হবে। ছোটো ছোটো লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম। লম্বা যাত্রায় সফল হতে গেলে ছোটো ছোটো পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়।"
বিসিসিআই-এর বিদায়ী সভাপতি এদিন অধিনায়ক হিসাবে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "রাহুল যখন একদিনের দল থেকে প্রায় বাদ পড়েছিলেন তখন আমি তার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম। আমি দল বাছাই করার ক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ নিয়েছিলাম। এই জিনিসগুলি দলের পরিবেশে চোখে পড়েনা এমনটা হয় না। শুধু আমি যে রান করেছি তা নয়। মানুষ অন্যান্য জিনিস মনে রাখে। তাদের জন্য নেতা হিসেবে আপনি যা করেছেন সেটা।"
লর্ডসে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি থেকে প্রশাসকের দায়িত্ব। সবকিছুই এদিন তুলে ধরলেন সৌরভ। পাশাপাশি এও জানিয়ে দিলেন প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে বেরিয়ে এসে অন্য কিছু করতে পারেন।
সৌরভের চেয়ারে বসতে চলেছেন রজার বিনি। তিনি ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। সৌরভ বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে সরে গেলেও জয় শাহ বোর্ডের সচিব হিসেবে বহাল থাকবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন