আর মাত্র কিছুদিন বাকি ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের। মোট ৮টি স্টেডিয়ামে বিশ্বের সেরা তারকারা খেলবেন। স্টেডিয়ামগুলি বানাতে খরচ হয়েছে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তারই মধ্যে একটি স্টেডিয়াম আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামের কিছু খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক।
দোহা থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে কাতারের অন্যতম ঐতিহাসিক জেলা উম আল আফেয়িতে অবস্থিত আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়াম। ২০০৩ সালে স্টেডিয়ামটি তৈরি হয়। বিশ্বকাপের জন্য ২০১৬ সালে সংস্কারের জন্য নতুন করে কাজ শুরু হয়। ৪ বছর লাগে নয়া রূপ দিতে। প্রথমে প্রায় ২২ হাজার দর্শক বসার ব্যবস্থা ছিল। ফিফা বিশ্বকাপের জন্য আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৪০ হাজার করা হয়েছে। বৃষ্টি হলেও কোনো ভয় নেই। সমস্ত সিট ছাদের নীচেই আছে। এই স্টেডিয়ামটিও তৈরি করেছে মার্কিন সংস্থা AECOM।
২০২০ সালে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০২১ সালে ফিফা আরব কাপের চারটে ম্যাচও আহমেদ বিন আলিতে খেলা হয়েছিল।
স্টেডিয়ামের ডিজাইনটি কাতারের সংস্কৃতির প্রতীক। এর উজ্জ্বল অগ্রভাগ ও জ্যামিতিক আকার কাতারের গল্প ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চিত্র ফুটিয়ে তোলে। দেশের মরুভূমির সৌন্দর্য, স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই যেন স্টেডিয়ামের প্রতিটা স্থানে ফুটে উঠেছে।
স্টেডিয়ামে একাধিক সুবিধা আছে। স্থানীয়দের কথা মাথায় রেখে দৌড়ানো ও সাইকেল ট্র্যাক, ছ’টা ফুটবল মাঠ, ক্রিকেট পিচ, টেনিস কোর্ট, প্যাডেল কোর্ট এবং আউটডোর জিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্কেট পার্ক ও অ্যাকোয়াটিক সেন্টারের মজাও নিতে পারবেন দর্শকরা।
ফুটবল বিশ্বকাপের মোট ৭টি ম্যাচ আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে হবে। প্রথম ম্যাচ হবে আমেরিকা বনাম ওয়েলস (২১ নভেম্বর)। দ্বিতীয় ম্যাচ হবে বেলজিয়াম ও কানাডার মধ্যে (২৩ নভেম্বর)। ওয়েলস ও ইরানের মধ্যে তৃতীয় ম্যাচ হবে ২৫ নভেম্বর। এই স্টেডিয়ামে চতুর্থ ম্যাচ হবে জাপান ও কোস্টারিকার মধ্যে (২৭ নভেম্বর)। পঞ্চম ম্যাচ খেলবে ওয়েলস ও ইংল্যান্ড (২৯ নভেম্বর)। ক্রোয়েশিয়া ও বেলজিয়াম ষষ্ঠ ম্যাচ খেলবে (১ ডিসেম্বর)। শেষ ও সপ্তম ম্যাচ হবে ৩ ডিসেম্বর, গ্রুপ সি-র প্রথম ও গ্রুপ ডি-র দ্বিতীয়ের মধ্যে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন