শনিবার সৌদি আরবের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হিরো সন্তোষ ট্রফির ফাইনাল ম্যাচ। মুখোমুখি হবে মেঘালয় ও কর্ণাটক। তবে অনেকেই ভাবছেন এই ট্রফিটার নাম 'সন্তোষ' কেন? এই নামকরণের পেছনে নানান ইতিহাস লুকিয়ে আছে।
১৯৪১ সালে ভারতের মাটিতেই পথ চলা শুরু সন্তোষ ট্রফির। ১৯৯৬ সালের আগে পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টকেই ভারতীয় ফুটবলের ঘরোয়া পর্যায়ে সর্বোচ্চ মর্যাদা লাভ করতো। ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে টুর্নামেন্টটি শুরু হয়। সন্তোষের মহারাজা স্যার মনমথা নাথ রায় চৌধুরী ছিলেন আইএফএ-র সভাপতি। ১৯৩৯ সালে ৬১ বছর বয়সে সন্তোষের মহারাজার মৃত্যু হয়। তাঁকে উৎসর্গ করার জন্যই ট্রফির নাম 'সন্তোষ ট্রফি'।
সন্তোষ আসলে অবিভক্ত বাংলার একটি অঞ্চল। বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকার টাঙ্গাইলে সন্তোষের অবস্থান। ব্রিটিশ শাসনের আগে জায়গাটি 'খোশনদপুর' নামে পরিচিত ছিল।
যে দল জয়ী হয় তাদের জন্য 'সন্তোষ ট্রফি'। রানার্স-আপ দলের জন্য আছে কমলা গুপ্ত ট্রফি। তৃতীয় অবস্থানের জন্যও ট্রফি আছে। তার নাম সম্পাঙ্গী কাপ। আরেক আইএফএ সভাপতি ড. এস কে গুপ্ত দ্বিতীয় স্থানাধীকারির জন্য ট্রফিটি প্রদান করেছিলেন। তৃতীয় ট্রফি প্রদান করেছিল মাইসোর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (বর্তমান নাম - কর্ণাটক স্টেট ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন)। মাইসোরের তারকা খেলোয়াড় সম্পাঙ্গীর সম্মানের উদ্দেশ্যে ট্রফিটি দান করা হয়েছিল।
বর্তমানে টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্বে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)। প্রথমে AIFF-র লক্ষ্য ছিল ভারতের তরুণ তারকাদের তুলে আনার জন্য অনুর্ধ্ব ২৩ ফুটবলাররাই অংশ নিতে পারবে সন্তোষ ট্রফিতে। পরে নিয়ম সংশোধন করা বলা হয় সকলে অংশ নিতে পারবে। ২০০৯ সালে সন্তোষ ট্রফিতে চোট পেয়ে নেহেরু কাপ থেকে ছিটকে যান সুনীল ছেত্রী। AIFF সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় দলে খেলা কোনো ফুটবলার টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না। তার বদলে ভারতের বিভিন্ন লিগে খেলা ক্লাবের রিজার্ভ প্লেয়াররা অংশ নিতে পারবে। ২০১৩ সালের পর থেকে সেই নিয়মই কার্যকর হয়ে আছে।
উল্লেখ্য, টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারে প্রতিটি রাজ্যের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলি। তাছাড়া বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। যেমন সার্ভিসেস, যারা ইন্ডিয়ান আর্ম ফোর্সের প্রতিনিধিত্ব করে। রেলওয়েজ প্রতিনিধিত্ব করে ভারতীয় রেলকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন