Wriddhiman Saha: কোন দু'জনের অনুরোধে এক মরসুম পরে অবসরের সিদ্ধান্ত ঋদ্ধির?

People's Reporter: রবিবার নিজের অবসরের ঘোষণা করেন ঋদ্ধিমান সাহা। তবে এই অবসর নাকি তিনি আগেই নিয়ে নিতেন।
ঋদ্ধিমান সাহা
ঋদ্ধিমান সাহাছবি সংগৃহীত
Published on

গত বছরই অবসর নিয়ে নিতেন ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু নিজের স্ত্রী এবং সৌরভ গাঙ্গুলির অনুরোধে বাংলার হয়ে খেলে ক্রিকেটার জীবনের ইতি টানতে চলেছেন তিনি। এমনটাই জানালেন ঋদ্ধি। ভবিষ্যতে তিনি কোনও দলের কোচ হতে আগ্রহী সেটাও জানিয়েছেন।

রবিবার নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেন ঋদ্ধিমান সাহা। তবে এই অবসর নাকি তিনি আগেই নিয়ে নিতেন। ঋদ্ধি বলেন, আমার এই বছর খেলার কথা ছিলই না। ভেবেছিলাম ত্রিপুরার হয়ে খেলে অবসর নেব। কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলি এবং আমার স্ত্রী বার বার অনুরোধ করেন। তাঁদের অনুরোধ ফেলতে পারিনি। আর বাংলার সাথে আমার আবেগ জড়িয়ে আছে। ছোট থেকে এখানেই ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছি। ক্রিকেট জীবনের শুরু এখানেই। তাই ঠিক করি শুধু রঞ্জি খেলে অবসর নেব।

তিনি আরও বলেন, ভারতের হয়ে বহু বছর খেলেছি। আইপিএল খেলেছি। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। ফাঁকা থাকলে বেশ কয়েকটা অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং করাই। ফলে ভবিষ্যতে কোচিং করানোর প্রস্তাব এলে অবশ্যই ভেবে দেখব। কোচিং করাবো না বা আগ্রহী নই এমনটা নয়।

রবিবার নিজের এক্স মাধ্যমে ঋদ্ধিমান জানান ২০২৪-২৫ মরসুমে রঞ্জি খেলেই ক্রিকেট কেরিয়ারের ইতি টানবেন তিনি। তিনি লেখেন, 'একটা সফল ক্রিকেটিয় অধ্যায় পেরনোর পর এটাই আমার কেরিয়ারের শেষ মরসুম হতে চলেছে। আমি গর্বিত বাংলার হয়ে শেষবার রঞ্জি ট্রফিতে খেলার সুযোগ পেয়ে। চলো সবাই মিলে চেষ্টা করি, এই মরসুমটাকে মনে রাখার মতো তৈরি করি'।

২০২০ সালে ভারতের হয়ে শেষ টেস্ট খেলেন ঋদ্ধি। ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্টে ঋদ্ধি করেছেন ১৩৫৩ রান, রয়েছে ৩টি শতরান। ৯টি ওডিআইতে ৫ ইনিংসে করেছেন ৪১ রান। টি ২০ অবশ্য খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। আইপিএলে ১৭০টা ম্যাচে ঋদ্ধিমান সাহা করেছেন ২৯৩৪ রান। ঋদ্ধিমান ২০১১ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আর ২০২২ সালে গুজরাট টাইটন্স দলের হয়ে আইপিএল জেতেন। ২০১৪ সালে আইপিএল ফাইনালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে সেঞ্চুরি করেন। কিন্তু দল জেতেনি। ঋদ্ধি ছাড়া কোনও ক্রিকেটার আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ঋদ্ধিমান ভারতীয় দল থেকে বাদ যান, তখন বোর্ড সভাপতি ছিলেন সৌরভ। তারপর সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধির বাংলার প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অভিমানে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ঋদ্ধি। সেই সময়ের সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া ঋদ্ধিকে বাংলায় থেকে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তিনি শোনেনি। পরে ফের সৌরভ গাঙ্গুলির হাত ধরেই বাংলায় ফিরে আসেন তিনি।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in