বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের হতাশ করে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলা ছাড়লেন ঋদ্ধিমান সাহা। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া এবং যুগ্মসচিব স্নেহাশিষ গঙ্গোপাধ্যায় ঋদ্ধির সাথে ৩৭ মিনিটের বৈঠকে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন বাংলা না ছাড়ার জন্য। তবে ঋদ্ধি তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। অবশেষে বাধ্য হয়েই সিএবি-র তরফ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয়েছে ঋদ্ধিমানকে।
বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে ফেলেছিলেন ঋদ্ধিমান। তবে এনওসি নিতে আসার সময় শিলিগুড়ির এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে আটকানোর একবার শেষ চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন সভাপতি অভিষেক। কিন্তু ঋদ্ধিমানকে আটকানো গেলো না। এনওসি পেয়ে যাওয়ায় এখন বাংলা ছাড়া যে কোনো রাজ্যের হয়েই খেলতে পারবেন তিনি। কোন রাজ্যের হয়ে খেলবেন তা এখনও না জানালেও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে ত্রিপুরার নাম।
সিএবি-র ওপর একরাশ অভিমান নিয়েই যে বাংলা ক্রিকেটকে ছাড়লেন ঋদ্ধিমান। রাহুল দ্রাবিড় কোচ হয়ে ভারতীয় দলে যোগ দেওয়ার পর ঋদ্ধিমানকে জানিয়ে দেওয়া হয় ভবিষ্যতে ভারতের টেস্ট দলের জন্য ভাবা হচ্ছে না তাঁকে। এই সিদ্ধান্ত স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ হয়ে পড়েন বাংলার এই ক্রিকেটার। এরপর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বাংলার হয়ে রঞ্জির গ্রুপ পর্বের ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলেন তিনি।
এরপরেই বাংলার ক্রিকেটের প্রতি ঋদ্ধিমানের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিএবি-র যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস। তিনি জানান নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময়ে ঋদ্ধিমান বাংলার হয়ে খেলতে চায়নি। দেবব্রত দাসের এই কথায় চূড়ান্ত অপমান বোধ করলেও ঋদ্ধি চুপ ছিলেন। বিষয়টি জলঘোলা হয় রঞ্জির নক আউট পর্বে বাংলা দল ঘোষণার পরে। ঋদ্ধি অভিযোগ করেন, তাঁর সাথে কোনোরকম কথা না বলেই তাঁকে দলে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি দেবব্রত দাসকে তাঁর মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতেও বলেন। তবে দেবব্রত দাস ক্ষমা চাননি। তাই বাংলা ক্রিকেটের সাথে আর কোনোরকম সম্পর্কই রাখলেন না ঋদ্ধিমান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন