ইউএস ওপেন টেনিস জয়ে এক লাফে বিশ্ব র্যাঙ্কিং-৩ ১৫০ তম স্থান থেকে ২৩ তম স্থানে উঠে এলেন গ্রেট ব্রিটেনের তারকা টেনিস খেলোয়াড় এমা রাডুকানু। দু’দিন আগেই তিনি কানাডিয়ান লায়লা ফার্নান্ডেজকে হারিয়ে ইউ এস ওপেন টেনিসের খেতাব জয় করেন। এই জয়ের ফলে বিশ্ব র্যাঙ্কিং-৩ ১২৭ ধাপ এগিয়ে তিনি পৌঁছে গেলেন ২৩ তম স্থানে।
এমা রাডুকানু বছর শুরু করেছিলেন ৩৪৫ বিশ্ব র্যাঙ্কিং দিয়ে। গ্রেট ব্রিটেনে তাঁর র্যাঙ্কিং ছিলো ১১। যদিও এই বছর ধারাবাহিক ভালো প্রদর্শন তাঁকে র্যাঙ্কিং-এ অনেকটাই এগিয়ে দিলো। শেষ ২৫টি ম্যাচের মধ্যে ২১টিয়ে জয় পেয়েছেন রাডুকানু। উইম্বল্ডনে ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি পেয়েও তিনি পৌঁছে গেছিলেন চতুর্থ রাউন্ডে। সেইসময়েই তিনি ৩৩৮ র্যাঙ্কিং থেকে উঠে এসেছিলেন ১৭৯ তম স্থানে।
২০২১-এর শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতা, ইউ এস ওপেন টেনিসের ফাইনালে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ১৮ বছর বয়সী রাডুকানু এবং ১৯ বছর বয়সী লায়লা। গত ২২ বছরে এই প্রথম দুই টিন এজ প্রতিযোগীর ফাইনালের ফলাফলে গ্রেট ব্রিটেনও নতুন তারকা পেয়েছে।
কোয়ালিফায়ার হিসেবে ইউ এস ওপেনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে রাডুকানু পেয়েছিলেন ২,০৪০ পয়েন্ট। এর ফলে তিনি গ্রেট ব্রিটেনের র্যাঙ্কিং-এ প্রথম প্রাক্তন টেনিস তারকা জোহানা কোন্টাকেও অতিক্রম করে যান। ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর থেকে টানা ৩১০ সপ্তাহ গ্রেট ব্রিটেনে শীর্ষ র্যাঙ্কিং ধরে রেখেছিলেন কোন্টা।
ইউ এস ওপেন টেনিসের ফাইনালে এমা রাডুকানুর প্রতিদ্বন্দ্বী কানাডার লায়লা ফার্নান্ডেজও এই প্রতিযোগিতায় রানার আপ হওয়ার সুবাদে র্যাঙ্কিং-এ এগিয়েছেন ৪৫ ধাপ। বিশ্ব র্যাঙ্কিং-৩ ৭৩ নম্বর স্থান থেকে তিনি উঠে এসেছেন ২৮ তম স্থানে। কানাডার অপর টেনিস খেলোয়াড় বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কুর স্থান ২০। শেষ ৩৪ বছরে মহিলা টেনিসের বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ প্রথম ৩০-এর মধ্যে কানাডার দু’জন। এর আগে ১৯৮৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কানাডার হেলেন কেলেসি এবং কারলিং বাসেট সেগুসো যথাক্রমে ২৯ এবং ৩০ তম স্থানে ছিলেন।
এমা রাডুকানু, লায়লা ফার্নান্ডেজ ছাড়াও র্যাঙ্কিং-এ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে আমেরিকান কোকো গফ-এর। তিনি চার ধাপ এগিয়ে ১৯ তম স্থান পেয়েছেন।
এই সপ্তাহের র্যাঙ্কিং অনুসারে ১০,০৭৫ পয়েন্ট পেয়ে র্যাঙ্কিং-এ প্রথম অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে বারটি। ৭৭২০ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে বেলারুশের আরিনা সাবেলেঙ্কা। তৃতীয় স্থানে আছেন চেক প্রজাতন্ত্রের কারোলিনা প্লিস্কোভা (৫৩১৫)। ইউক্রেনের এলিনা সতোলিনা (৪৮৬০) চতুর্থ এবং জাপানের নাওমি ওসাকা (৪৭৯৬) পঞ্চম স্থানে আছেন।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন