৩৪ বছর এ রাজ্যে বিজেপিকে ঢুকতে দেয়নি বামেরা। মমতাকে দিয়ে পরিকল্পনা করে রাজ্যে নিজেদের ভিত গড়েছে বিজেপি। তাই বিজেপিকে যদি সত্যিই আটকাতে চান, তাহলে সংযুক্ত মোর্চাকে সমর্থন করুন। নন্দীগ্রাম থেকে এইভাবেই চাঁচাছোলা ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপিকে আক্রমণ করলেন সংযুক্ত মোর্চার শরিক আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি।
আজ সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত নন্দীগ্রামের সিপিআইএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং চন্ডীপুরের সিপিআইএম প্রার্থী আশিস গুছাইতের সমর্থনে নন্দীগ্রামের কলেজ মাঠে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মূল বক্তা ছিলেন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম ও আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকি। এদিন ভাষণের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন আব্বাস সিদ্দিকি। প্রথমেই তিনি বলেন, তাঁর দল কোনো ধর্মের প্রচারক নয়, তিনি কোনো গোলামি চান না, অধিকার রক্ষার দাবিতে এই লড়াই লড়তে এসেছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, "বাংলায় কোনো জাতপাতের বিভাজন ছিল না। জোড়াফুল বাংলার ভ্রাতৃত্বকে নষ্ট করেছে। আড়াই হাজার টাকা করে ইমাম ভাতা দিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে তা বারবার দেখিয়েছে। আমরা এতোই বোকা যে এই আড়াই হাজার পেয়েই খুশি হয়েছি। ভুলে গিয়েছি আমাদের ছেলেমেয়েদের চাকরি দেননি উনি।" তাঁর স্পষ্ট কথা, "এই ভাতা দেওয়ার সরকার চাই না। সংবিধানের অধিকার দেওয়া সরকার চাই।"
আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, বাংলায় আগেও বিজেপি এসেছিল, কিন্তু লালঝান্ডার দাপটে পালিয়েছে। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নাটকওয়ালার হাত ধরে বাংলায় এল বিজেপি। ১৯৯৮ সালের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর কটাক্ষ, ১৯৯৮ সালে লালকৃষ্ণ আডবাণী বলেছিলেন, তৃণমূলের সাথে বিজেপির জোট ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আজ বোঝা যাচ্ছে কেন তা ঐতিহাসিক। সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে শুভেন্দু, রাজীবকে উপহার পাচ্ছে বিজেপি। একদিন দেখবেন মমতাকেই উপহার চাইছে বিজেপি। সেদিন দিদি-মোদী আবার এক হয়ে যাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন