সব শিডিউল কাস্টই ভিখারি। আরামবাগ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের এ হেন মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইল নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা মুক্তার আব্বাস নকভি এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই সুজাতাকে নোটিস দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
ভোটের দিন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে সুজাতাকে বলতে শোনা যায়, ‘সব শিডিউল কাস্ট ভিখারি এরা। এদের কেবল দাও দাও। আমি বলেছিলাম, মমতাদি এত কিছু দিয়েছেন, তোমরা ভোটটা দেবে না কেন। কথায় বলে না, কেউ অভাবে ভিখারি, আর কেউ স্বভাবে ভিখারি।’
নির্বাচন কমিশনের মতে, সুজাতার বক্তব্য আদর্শ আচরণবিধি এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫(২) ধারা লঙ্ঘন করেছে। ওই ধারা অনুযায়ী, কারও বক্তব্যে ঘৃণা ও জাতিবিদ্বেষ তৈরি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শাস্তি হিসাবে ৩ বছরের হাজতবাস বা জরিমানা, বা দুই'ই হতে পারে।
তৃণমূল প্রার্থী সুজাতার বক্তব্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই। বলেছেন, মমতা দিদির প্রশ্রয়েই তৃণমূলের স্টার ক্যাম্পেনার সুজাতা মণ্ডল সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের হেয় করেছেন, খাটো করেছেন।
প্রসঙ্গত, সুজাতা মণ্ডল নিজেও তফশিলি জাতিভুক্ত। সুজাতাকে নোটিশে ‘ভিখারি’ মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন। কমিশন চাইলে তাঁর প্রার্থীত্ব সাসপেন্ড করতে পারত। কিন্তু তাঁকে ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন