তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বিজেপির অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে এল। চুঁচুড়া থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তারপরই রাজনীতি থেকে অবসর নিলেন চুঁচুড়ার বিজেপি নেতা সুবীর নাগ। এবারে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকার হেভিওয়েট নাম ছিল তিনি। কিন্তু বিজেপি টিকিট দিয়েছে হুগলির সাংসদ লকেটকে।
সুবীর নাগ দীর্ঘদিন জেলা সাংগঠনিক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁকে টিকিট না দিয়ে দল সঠিক মূল্যায়ন করেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজনীতি ছাড়েন তিনি। দলের সিদ্ধান্তে অভিমান হয়েছে, সেটা স্পষ্ট তাঁর কথায়। তিনি বললেন, এখনও দলের আদর্শ মাথায় রেখেই চলি। কিন্তু যে পরিশ্রম করে দলকে দাঁড় করিয়েছি, তার কোথাও যেন একটা সঠিক মূল্যায়ন হল না। দল হয়তো আমার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না।
তৃণমূল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। অনেক বিধায়ক টিকিট না পেয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই শাসক শিবির ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এবার বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতে অনেকটা সেরকম চিত্র প্রকাশ্যে এল।
এই প্রসঙ্গে কী বলছেন হুগলির সাংসদ? বলেন, দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন যা করার সবাইকে একসঙ্গে হয়ে লড়াই করতে হবে। তবে প্রয়োজনে তিনি সুবীর নাগের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
এদিকে চুঁচুড়ার বিজেপি মহলে অন্য কথা। ২০১৯-এ হুগলি থেকে যখন লকেট প্রার্থী হন, তখন তাঁকে জেতানোর দায়িত্ব ছিল এই সুবীর নাগের উপরে। তিনি রাজনীতির নানা কৌশল তাঁকে শিখিয়েছেন বলে স্থানীয় বিজেপি মহলের দাবি। কিন্তু সাংসদ হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। তাঁর কলকাঠিতেই সভাপতি পদে সুবীরকে সরিয়ে গৌতম চট্টোপাধ্যায়কে আনা হয়। তিনি ছিলেন শুধুমাত্র নামসর্বস্ব পর্যবেক্ষক পদে। জানা যাচ্ছে, সুবীর নাগ ছিলেন হেভিওয়েট প্রার্থী পদের দাবিদার। তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন একমাত্র ওবিসি মোর্চার সভাপতি স্বপন পাল।
উল্টোদিকের লকেট ঘনিষ্ঠ জানাচ্ছেন, ২০১৯-এ লকেটকে হারিয়ে দিতে চেষ্টা করেন সুবীর নাগ। লকেটের জিতে যাওয়ায় বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন