"আপনি আপনার ধর্ম করবেন। কিন্তু কর্ম আপনাকে করতেই হবে। তাই আমরা কর্ম চাইছি।" আইয়া পাঁচমাথায় জাঙ্গিপাড়া বিধানসভার সংযুক্ত মোর্চার আইএসএফ প্রার্থী শেখ মৈনুদ্দিনের সমর্থনে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বললেন আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকী।
আব্বাসের কথায়- "পদ্মফুল এমন একটা ভাইরাস যে ভাইরাস মানুষে মানুষে ভাগ করেছে। রেল, এয়ারপোর্ট বেসরকারিকরণ করতে চাইছে। এদিকে তৃণমূলও একটি ভাইরাস, যে ভাইরাস রাজ্যে বিজেপিকে এনেছে। এখন তৃণমূল বলছে বিজেপিকে আটকাবে। বাংলায় ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু সেই সময় বিজেপি একটুও মাথাচাড়া দিতে পারেনি। বিজেপি তো তৃণমূলের খালাতো (মাসতুতো) ভাই।" তাই সংযুক্ত মোর্চা তৈরির সময় ২৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড ঐতিহাসিক জমায়েতে সবাই ভয় পেয়ে গেল। সংযুক্ত মোর্চাকে মুছে দিতে চাইল। ওরা নিজে মরবে। পদ্মফুলে ভোট দেবে এটাই তৃণমূলের পলিসি।
সভায় আব্বাস বলেন- "সংযুক্ত মোর্চা কারখানা, চাকরির কথা বলে। সংযুক্ত মোর্চা অধিকার গণতন্ত্রের কথা বলে। সংযুক্ত মোর্চা সিঙ্গুরের কারখানার কথা বলে। তাই সংযুক্ত মোর্চার সরকার হবেই।" এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ। তৃণমূল-বিজেপির আঁতাঁতকে কটাক্ষ করে বলেন, পা তো ভেঙে ফেলেছে। এবার খেলা কী করে হবে? তৃণমূল ও বিজেপি নিজেদের মধ্যে আঁতাঁত গড়ে তুলেছে।
আইএসএফ সভাপতি সিমল সরেন বলেন- " লকডাউনের সময় যারা করোনাকালে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল তাঁরা গাড়ি পেলেন না। হাঁটতে হাঁটতে তাঁরা রেললাইনের ওপর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। আমরা লকডাউনের মধ্যে কী দেখলাম তৃণমূল থেকে বিজেপিতে দলবদলু নেতারা বিশেষ বিমান পেলেন। তৃণমূল ও বিজেপির আঁতাঁত রুখতে জাঙ্গিপাড়ায় সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী শেখ মৈনুদ্দিনকে জয়যুক্ত করুন।"
এদিন বক্তব্য রাখেন জাঙ্গিপাড়া কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী শেখ মৈনুদ্দিন, যুবনেতা মুশা হালদার। সভায় ছিলেন সিপিআই(এম) নেতা প্রদীপ্ত সরকার, কংগ্রেস নেতা সুভাশীষ দত্ত, অজিত মজুমদার। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিআই(এম) হুগলী জেলা কমিটির সদস্য স্বপন বটব্যাল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন