মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর হাবরার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। সতর্ক করা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। এবং শোকজ করা হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাকে ফুৎকারে উড়িয়ে নিজের প্রচারে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় উপস্থিত থাকলেন রাহুল। যদিও তিনি সভামঞ্চে ওঠেননি, প্রচারও করেননি, শুধু দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন।
শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর পর বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন রাহুল সিনহা। বলেছিলেন, 'চারজন নয়, শীতলকুচিতে আটজনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন তা করেনি, তার জন্য শোকজ করা উচিত।' এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে নোটিশ না দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে তাঁর প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
নিষেধাজ্ঞা জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজের নির্বাচনী এলাকায় তাঁর সমর্থনে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় উপস্থিত থাকার ঘটনায় নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। যদিও তিনি মঞ্চে ওঠেননি, ছিলেন দর্শকের আসনে। নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাহুলের সাফাই, তাঁকে প্রচার করতে বারণ করা হয়েছে। ভোট চাইতে পারবেন না। ভোট চাননি। নমস্কারও করেননি। তাঁর বক্তব্য, 'আমার প্রচার শোনাতে মানা নেই। মঞ্চে উঠিনি। নিষেধাজ্ঞাও তাই অমান্য করিনি। আমাকে কোথাও বসতে বারণ করা হয়নি।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন