টুম্পা সোনা, একটা হাম্পি দে না।' একটি ওয়েব সিরিজের ভাইরাল হওয়া এই গানকেই বিধানসভা নির্বাচনে হাতিয়ার করছে বামেরা। ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের আগে এই গানের প্যারোডি দিয়ে প্রচার শুরু করেছিল বামেরা। মূল গানটির মতো এটিও ব্যাপক ভাইরাল হয়। ধাপে ধাপে আরও বেশ কয়েকটি প্যারোডি স্থান পায় বামেদের প্রচারে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'লুঙ্গি ড্যান্স', 'উরি উরি বাবা'। রায়দিঘির বাম প্রার্থী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়েও তৈরি হয় একটি প্যারোডি। এবার বাম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যকে নিয়ে তৈরি করা প্যারোডি নিয়ে ফের হাজির বামেরা।
শিলিগুড়ি শহরের দুই ছাত্র নেতার চেষ্টায় আজই বামেদের নতুন প্যারোডি আত্মপ্রকাশ করল। শিলিগুড়ির সিপিআইএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর সমর্থনে তৈরি এই প্যারোডি, যা লিখেছেন ছাত্র নেতা গৌরব সেনগুপ্ত এবং গলা মিলিয়েছেন আর এক ছাত্র নেতা অঙ্কিত দাস। এবার এই প্যারোডি দিয়ে বাজিমাত করতে চাইছে উত্তরবঙ্গ বামফ্রন্ট।
এই মুহূর্তে সুপারহিট এই নতুন প্যারোডি। গানের মূল থিম, তৃণমূল ও বিজেপির আর্থিক দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, সরকারি নীতি। সমালোচনা, কটাক্ষ সবটাই প্রকাশ পেয়েছে গানে। গানটি হল, 'ধিন তাক তাক চিতা চিতা, ধিন তাক তাক না/ শিলিগুড়িতে এবার ভোটে আবার অশোক দা/উল্টে দেব, পাল্টে দেব, ভোটে বিজেমূলকে হারিয়ে দেব' প্যারোডিতে অন্য আর একটি সুরে রয়েছে, 'বাচকে রহো বঙ্গবাসী, বাচকে রহো রে, সব তোলাবাজ বিষঝাড়েরা বিজেমূলে রে!' ফেসবুকে গানটি পোস্ট করেছেন সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারও।
লেখক গৌরব সেনগুপ্তর মতে প্যারোডিই এখন আকর্ষণ। তিনি জানান, 'নতুন প্রজন্মের ভোটারদের টানতে প্যারোডির বিকল্প নেই। তাই গানটি লিখে ফেললাম হিন্দি গানের সুরে।" গায়ক অঙ্কিত বলেন, 'এই গানটি গাইতে পেরে গর্বিত।" গান বরাবরই বামেদের কাছে বড় অস্ত্র। এবার যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে করা হয়েছে, ব্রিগেড থেকে যার শুরু। বললেন অশোক ভট্টাচার্য।
যদিও এই বিষয়টিকে পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন সদ্য সিপিআইএম ত্যাগী বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ। বলেন, 'ওদের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। অমাবস্যার রাতে চাঁদ দেখা যেতে পারে, কিন্তু বাম, কংগ্রেস, আইএসএফ জোট ক্ষমতায় আসতে পারবে না।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন