২২ মার্চ, কলকাতা- বিজেপি দেশের শত্রু। তাই কোনও অবস্থাতেই বিজেপিকে ভোট দেবেন না তিনি। সাফ বলে দিলেন বারাসতের বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। কাকে বললেন তিনি একথা? রবিবাসরীয় ভোট প্রচারে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর মুখের ওপর ওই সিপিএম নেতা একথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন। অপ্রস্তুতে পড়ে বিজেপি প্রার্থী শুধু প্রণাম পর্ব সেরে বেরিয়ে যান।
রবিবাসরীয় প্রচারে বিজেপি, তৃণমূল বাম প্রার্থীরা কেউই পিছিয়ে ছিলেন না। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বারাসতের হেলাবটতলা মোড় লাগোয়া কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ভোট প্রচার শুরু করেন। তারপর শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার সারেন। যান প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বারাসতের ডাকসাইটে সিপিএম নেতা প্রদীপ চক্রবর্তীর বাড়িতে। বাম জমানা না থাকলেও এলাকায় তাঁর প্রভাব রয়েছে এখনও। প্রদীপবাবুকে প্রণাম করে আশীর্বাদ চান শঙ্করবাবু। তখন প্রবীণ ওই নেতা উল্টে প্রশ্ন তোলেন, আমার কাছে কেন এসেছ? ভালো করেই জানো, আমি তোমাদের ভোট দেব না। বরং অন্যদের বলব, তোমাদের ভোট না দিতে। আমাদের দলের প্রধান শত্রু বিজেপি। আমার বাড়িতে এসে তোমার কোনও লাভ হবে না। একথা শুনে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েন শঙ্কারবাবু। যদিও হাসিমুখে বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রদীপবাবু বলেন, উনি এসেছেন ভালো কথা। কিন্তু আমাদের দলের কাছে বিজেপি এক নম্বর শত্রু। তাই ওই দলকে ভোট দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কী বলছেন শঙ্করবাবু? তাঁর কথায়, বারাসতের সব প্রবীণ রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদ নিতে আমি তাঁদের বাড়ি যাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বিষয়। তিনি আশীর্বাদ করায় খুশি বলে জানান। এদিন মধ্যমগ্রামে প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী রথীন ঘোষ। বারাসতের নবপল্লি এলাকার ছোট বাজারে প্রচার সারেন বাম প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। রাহুল সিনহা হাবড়ার একাধিক জায়গায় জনসংযোগ করেন। ফুটবল মাঠে খেলায় অংশ নেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন