কোচবিহারের শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে চারজন যুবকের নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে বিতর্কিত মন্তব্য যেন থামছেই না। দিলীপ ঘোষের পর রাহুল সিনহা। হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার সাফ কথা, 'শীতলকুচিতে চারজন নয়, আটজনকে গুলি করে মারা উচিৎ ছিল।'
তিনি এতেই থেমে থাকেননি। কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন আটজনকে গুলি করেনি, তার জন্য শোকজ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।' রবিবার রাতে রাহুল শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বিতর্ক উস্কে বলেন, 'ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছেলেকে বিজেপি করার অপরাধে যারা গুলি করে মারে, তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা বাহিনীর দিকে বোম ছুড়ে মানুষকে ভোট দিতে আটকায়, তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন মস্তানরাজ কায়েম করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করার চেষ্টা করছেন।'
এরপরই রাহুলের বিতর্কিত মন্তব্য, 'ঝামেলা পাকাতে এলে কী হতে পারে, তা তো শীতলকুচিতে দেখেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী উচিৎ জবাব দিয়েছে। আবার করলেও এই জবাব দেবে। শীতলকুচিতে ৪ জন নয়, ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিৎ ছিল। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী চার জনকে মারল, তার জন্য বাহিনীকেই শোকজ করা উচিৎ।'
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের জেরে তৃণমূল তাঁর প্রচার নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়েছে ইতিমধ্যেই। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলার আবেদনও করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের এহেন মন্তব্যে স্বভাবতই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'এটাই ক্ষমতার অপব্যবহার। শীতলকুচির ঘটনার দোষীদের অবিলম্বে তদন্ত করে শাস্তি দেওয়া উচিৎ।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন