WB Election 21: ১০ বছর পরে এলাকায়- ভোটের ময়দানে নেমে আবার পুরানো মেজাজে সুশান্ত ঘোষ

বেনাচাপড়া কঙ্কালকান্ডে নাম জড়ায়। যার জেরে প্রায় দশ বছর আইনি জটিলতায় এলাকায় ঢুকতে পারেননি সুশান্ত ঘোষ।
নির্বাচনী প্রচারে সুশান্ত ঘোষ
নির্বাচনী প্রচারে সুশান্ত ঘোষ ফাইল চিত্র
Published on
ফাইল চিত্র

শালবনীতে এবার সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই আলাদা করে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরী হয়েছে এলাকা জুড়ে।

ফাইল চিত্র

সুশান্ত ঘোষ যে বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ তৃণমূল-বিজেপি শিবিরও তা স্বীকার করছে। শুধু তাই নয় দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়ার পর জঙ্গলমহলে ঢুকতেই দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিসগুলো কার্যত তাঁর নেতৃত্বেই উদ্ধার হয়।

ফাইল চিত্র

এবারে আর গড়বেতা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না সুশান্ত ঘোষ। তার বদলে শালবনী থেকে সংযুক্ত মোর্চার সমর্থিত বামফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন।

ফাইল চিত্র

প্রায় ৩২ বছর গড়বেতার বিধায়ক থাকার পর এই প্রথম কেন্দ্র বদল করলেন। ২০১১ সালে প্রবল পরিবর্তনের হাওয়াতেও গড়বেতা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।

ফাইল চিত্র

তারপরেই বেনাচাপড়া কঙ্কালকান্ডে তাঁর নাম জড়ায়। যার জেরে প্রায় দশ বছর এলাকায় ঢুকতে পারেননি আইনি জটিলতায়।

ফাইল চিত্র

এলাকায় ঢুকেই ফের পুরানো মেজাজে দেখা যায় তাঁকে। জনসংযোগ করছেন একের পর এক পুরোনো দুর্গে।

ফাইল চিত্র

দেখা করছেন একের পর এক পুরানো সমর্থকদের সঙ্গে। কেউ কেউ একেবারেই নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন, আবার কেউ কেউ অন্য দলে। তাঁদেরকে দলে ফিরিয়ে আনছেন সুশান্ত ঘোষ।

ফাইল চিত্র

এক সময় ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে তাঁর জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী- হাতে মাত্র ৫ হাজার টাকা ! অস্থাবর সম্পত্তি বলতে ০.৪২ একর জমি। যার বর্তমান মূল্য ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।

ফাইল চিত্র

নিজস্ব কোনো বাড়ি নেই, আছে একটা পুরানো গাড়ি- যার বর্তমান মূল্য ১ লক্ষ টাকা। স্বল্পকালীন আমানত, এমনকি কোনও সেভিংস ও ঋণও নেই। নেই কোনো মিউচুয়াল ফান্ড, বিমা অথবা পোস্ট অফিসের সেভিংসও।

ফাইল চিত্র

সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গেছে- “মাওবাদীরা জানে সুশান্ত ঘোষ কে। তৃণমূল আর বিজেপি-র বাপ-ঠাকুর্দাও জানে। এত দিন যা করেছে করেছে। আমি ছিলাম না, তাই মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারিনি। এখন কারও গায়ে যদি হাত পড়ে সোজা গাঁয়ে যাব, যার ক্ষমতা হবে গায়ে হাত দেওয়ার সোজা ঘর থেকে তুলে নিয়ে এসে হাত-পা ভেঙে আমিই চিকিত্‍সা করাব।”

এরপরেই শোকজ নোটিশ যায় তাঁর কাছে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তিনি উত্তর দিয়েছেন - “আমার বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।”

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in