২২ এপ্রিল, কলকাতা- বিজেপি ও তৃণমূল সরকার উভয়েই আসলে অপদার্থ। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সবরকমের বিজ্ঞাপনের প্রচার আসলে ভুয়ো। সরকার সবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে বলে যে প্রচার করেছিল, সেই সব কোথায়? আয়ুষ্মান ভারত কোথায়? স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পই বা কোথায়? বুধবার এভাবেই কেন্দ্র ও রাজ্যকে বিঁধলেন সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।
খোলাবাজারে ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সেলিম বলেন, আমরা সবসময় সর্বজনীন টিকাকরণের দাবি করেছিলাম। স্বাধীনতার পর থেকে সব সরকারই যে কাজটা করেছিল। এই প্রথম ভারত সরকার হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে। কিন্তু তা করলে হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়লেও বেড সংখ্যা বাড়ছে না। মৃত্যু বাড়ছে অথচ ভ্যাকসিন নেই, ওষুধও নেই। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে কত টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে, তার কোনই হিসেব নেই। সিএজিও জানে না। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সব মানুষের উদ্বেগে আছেন। আতঙ্কে রয়েছেন। তার জন্য ভ্যাকসিননের চাহিদা বাড়ছে।
আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সবাই ভ্যাকসিন পাবেন। ফলে এই চাহিদা আর বাড়বে। এই চাহিদা পূরণ করার জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্র, এমনই অভিযোগ করলেন সেলিম। ধনী দেশগুলো তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছে। কিন্তু ভারত প্রস্তুতকারী দেশ হয়েও নিজেদের মানুষের কথা ভেবে সংগ্রহে রাখেনি। সেলিমের কথায়, মোদি-মমতা দুজনেই অপদার্থ। কেন্দ্র টিকাকরণের উৎসব করেছে কিন্তু মানুষের টিকাকরণের ব্যবস্থা করেনি। এই দুর্দিনে আসলে পুঁজিপতিদের, ফার্মা কোম্পানিগুলির উৎসব হয়েছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে চাই না। বামপন্থীরা আগেও মানুষের পাশে ছিল। এখন যেখানে ভোট হয়ে গেছে, সেখানে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বামপন্থীরাই মানুষের পাশে থাকবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন