সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত বালির সিপিআইএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের সমর্থনে প্রচার করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। জেএনইউ-এর এই প্রাক্তনীর সমর্থনে বাড়ি বাড়ি হেঁটে প্রচারের পাশাপাশি 'হাল্লা বোল', 'আজাদী' স্লোগান দিলেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, যে গিমিক ও ভাঁওতাবাজি চলছে সর্বত্র তার একমাত্র বিকল্প সংযুক্ত মোর্চা।
আজ বালির বাদামতলা এলাকায় দীপ্সিতাকে সাথে নিয়ে প্রচার করেন শ্রীলেখা মিত্র। সেখানে পদ্মফুল-জোড়াফুলকে কটাক্ষ করে শ্রীলেখা বলেন, "ফুল তো মরসুমে আসে, কিন্তু কাস্তে-হাতুড়ি-তারা সবসময় থাকে। তাই হাল ফেরাতে মানুষ এবার সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদেরই ভোট দেবে। দীপ্সিতা তরুণ প্রজন্মের প্রতীক, যে তরুণ প্রজন্ম সত্যিই চেঞ্জ চায়, তারা চায় তাদের চাকরি কথা-শিক্ষার কথা বলুক এমন কাউকে। কে কী মাংস খাবে সেটা না বলে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদার কথা বলুক, যারা এগুলো চায় দীপ্সিতা তাদের প্রতিনিধি। দীপ্সিতার মতো তরুণ প্রজন্মের মানুষরাই পারবেন হাল ফেরাতে। কারণ ওঁদের শিরদাঁড়া সোজা। যে গিমিক ও ভাঁওতাবাজি চলছে তার বিকল্প যে সংযুক্ত মোর্চা, মানুষ তা এখন বুঝতে পারছে।"
প্রচার চলাকালীন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিদায়ী বিধায়ক বৈশাখী ডালমিয়াকে আক্রমণ করে দীপ্সিতা বলেন, "বিগত পাঁচ বছরে এখানকার বহু মানুষ তাঁদের বিধায়ককে একবারও দেখেননি। ২০১৬ সালে জিতে সেই যে বিধায়ক হয়েছিলেন বৈশালী ডালমিয়া, তারপর আর এলাকায় আসেননি তিনি। এটা শুধু সাধারণ মানুষ নয়, তৃণমূলের কাউন্সিলরাও বলছেন, যে তাঁদের সাথে একদিনও বৈঠক করেননি বৈশালী ডালমিয়া। যে মানুষটা পাঁচ বছর কাজ করলেন না সেই মানুষটা এখন ফুল বদলে আবার ভোটপ্রার্থী হয়েছেন, বালির মানুষ বুঝেছে সেই বেইমান, দলবদলুকে আর ভোট দেবেন না তাঁরা।"
তিনি আরও বলেন, "এই অঞ্চলের বহু মানুষ বহু দিন ভোট দিতে পারেননি। মানে তৃণমূল ছাড়া আপনি যদি অন্য কোনো দলের সমর্থক হন, খুব পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে যদি বামপন্থী সমর্থক হন, ভীষণরকম আক্রমণের মুখে পড়েছেন তাঁরা। লাল ঝান্ডা নিয়ে আমরা যখন প্রচারে যাচ্ছি আমাদের দেখে কেঁদে ফেলেছেন অনেকে। আমাদের দেখে ভরসা পাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের এই ভরসার মর্যাদা যেন রাখতে পারি আমরা।"
বালিতে এবার বিজেপির হয়ে লড়ছেন বৈশালী ডালমিয়া। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। অপরদিকে এখানে এবারে তৃণমূলের প্রার্থী রানা চট্টোপাধ্যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন