রাজ্যসভার আসন ম্যানেজ করতে উনি এসব বলতেই পারেন - আনন্দ শর্মার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ অধীরের প্রতিক্রিয়া

অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন টিএমসি একটি স্বৈরতান্ত্রিক শক্তি আর বিজেপি সাম্প্রদায়িক শক্তি। রাজ্যে এই দুইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই হবে। রাজ্যকে এর থেকে মুক্ত করতে ধর্মনিরপেক্ষ যারা আছে তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও আনন্দ শর্মা
অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও আনন্দ শর্মাফাইল ছবি সংগৃহী
Published on

এবার কংগ্রেসে বেসুরো হওয়ার পালা। এতদিন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের দলবদলের পালা চলছিল। এবার সেই হাওয়া যেন লাগল কংগ্রেসের অন্দরেও। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ আনন্দ শর্মার টুইট ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। তাঁর টুইটারে তিনি কিছুটা কংগ্রেস বিরোধী মন্তব্য করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি তৃণমূল এবং বিজেপির পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। ফলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসে। যার বিরুদ্ধে সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর কথায়, টিএমসি একটি স্বৈরতান্ত্রিক শক্তি আর বিজেপি সাম্প্রদায়িক শক্তি। রাজ্যে এই দুইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। রাজ্যকে এর থেকে মুক্ত করতে ধর্মনিরপেক্ষ যারা আছে তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

প্রদেশ সভাপতির কথায়, দিল্লিতে বসে আনন্দ শর্মা এই রাজ্য নিয়ে কিছুই জানেন না। তাঁর উচিত ছিল তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলা। রাজ্যসভার সাংসদ পদের টিকিটের জন্য এসব করছেন।

তিনি বলেন, 'খুব খুশি হতাম যদি আনন্দ শর্মা স্বৈরতান্ত্রিক শক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করে বলতে পারতেন যে বাংলায় স্বৈরতান্ত্রিক শক্তিকে পরাজিত করা উচিত। যেমন সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপির বিরোধিতা আমরা করেছি, তেমনই স্বৈরতান্ত্রিক শক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের বিরোধিতা আমরা করছি। আমরা আনন্দ শর্মার কাছে মমতার বিরুদ্ধেও কথা শুনতে চাই। তিনি দিল্লিতে থাকেন। রাজ্যের কথা তো জানেন না। এখানে নিরাপরাধ কংগ্রেস কর্মীরা জেল খাটছেন, যাঁরা মাদক পাচারে আসামি হয়েছেন, তাঁদের কথা আনন্দ শর্মার কানে পৌছয় না, তাই তিনি জানেন না। কাউকে খুশি করার জন্য, রাজ্যসভার আসন ম্যানেজ করার জন্য তিনি এসব বলতেই পারেন।'

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in