দুপুরেই সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেক বিদায়ী বিধায়ককেই এবারের নির্বাচনে টিকিট দেননি তৃণমূল। তার বদলে তারকা প্রার্থীর ছড়াছড়ি। এতেই ক্ষোভ বাড়ছে দলের পুরোনো কর্মীদের। একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কর্মীরা।
যেমন প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙ্গর। এবারের নির্বাচনে টিকিট পাননি আরাবুল ইসলাম। টিকিট না পেয়ে প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। নিজের ফেসবুকে লেখেন, "দলে আজকে আমার প্রয়োজন ফুরালো!" এরপরই ভাঙ্গরে তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান তিনি। তাঁর অনুগামীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
অপরদিকে, আমডাঙায় রফিকুর রহমানকে টিকিট না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ তাঁর অনুগামীরা। দেড় ঘন্টার বেশি সময় ধরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন তাঁরা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে সন্ধ্যার সময় ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত হয়। কিন্তু তাতেও অবরোধ তুলতে রাজি হননি রফিকুর-অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, রফিকুর রহমানকে নির্বাচনের টিকিট দিতেই হবে।
এবারের নির্বাচনে টিকিট পাননি তৃণমূল নেত্রী সোনালী গুহ। সাতগাছিয়া থেকে গতবার প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি এবং জিতেছিলেন। এবার টিকিট না পেয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভবুদ্ধি হোক" বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়াও এবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন শিবপুর কেন্দ্রের দীর্ঘদিনের বিধায়ক জটু লাহিড়ী, সাঁকরাইল কেন্দ্রের বিধায়ক শীতল সর্দার, দক্ষিণ হাওড়ার ব্রজমোহন মজুমদার প্রমুখ। টিকিট পাননি নলহাটির মইনুদ্দিন শামস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন