একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যের নজর মূলত নন্দীগ্রাম আসনটির দিকে। আরও বেশ কয়েকটি আসন গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই কেন্দ্রটির গুরুত্ব অন্য জায়গায়। কেন্দ্রের দু'জনেই হেভিওয়েট প্রার্থী-একজন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর একজন দাপুটে নেতা তথা ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী। এই দুইয়ের লড়াইয়ের কাছে অন্য কেন্দ্রগুলির আকর্ষণ কিছুটা ম্লান বটে। তবে শনিবার বিজেপি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে অন্য একটি আসন। ডেবরা।
শুক্রবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। ওই তালিকা অনুসারে ডেবরায় প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবির। আর গতকাল প্রকাশিত বিজেপির প্রার্থী তালিকা অনুসারে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন একসময়ের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম পছন্দের সহকর্মী তথা প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক ভারতী ঘোষ। সুতরাং এই দুই আইপিএসের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডেবরা যে লাইমলাইট নিজের দিকে অনেকটাই ঘুরিয়ে নিতে পেরেছে, তা বলাই যায়।
সদ্যই কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন হুমায়ুন কবির। তারপর শাসকদলের শিবিরে যোগদান করেন। আর প্রথমেই তাঁকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বসিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী। ইতিবাচক দিক হল হুমায়ুন নিজে ডেবরার ভূমিপুত্র। কিন্তু নেতিবাচক দিক হল সেই অর্থে তিনি ডেবরায় কোনওদিন থাকেননি। তার ওপর দলের গোষ্ঠীকোন্দলও কিছু কম নয়। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বর্তমান বিধায়ক সেলিমা খাতুনকে প্রার্থী করা হয়নি। ফলে তার অনুগামীদের মধ্যে একটা বিক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে। সেটা কাটিয়ে উঠে সবাইকে একত্রিত করে হুমায়ুন কবিরের কাজটা একেবারে সহজ নয়।
অন্যদিকে, ডেবরা জায়গাটিকে নিজের হাতের তালুর মতোই চেনেন ভারতী ঘোষ। গত লোকসভা নির্বাচনে ঘাটালের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ঘুরে ঘুরে প্রচার করেন। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর যাতায়াত অবাধ। একটা পরিচিতিও রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি ৪২৩৯ ভোটে এগিয়ে ছিল। কিন্তু সেটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ হুমায়ুন। তিনি গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন