নির্বাচনী ইস্তেহার নয়, সংকল্প পত্র। ক্ষমতায় এসে আগামী পাঁচ বছর সোনার বাংলা গড়তে যে যে দিকে উন্নয়ন প্রয়োজন, কীভাবে সে উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করা হবে, তার সংকল্প হল এই ইস্তেহার। রবিবার বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশের পরেই তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন সৌগত রায়, ডেরেক ও'ব্রায়েন। ওই সাংবাদিক বৈঠকে সৌগত রায় বলেন, বিজেপির ইস্তেহার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি মাত্র। এই ইস্তেহারের কোনও দাম নেই। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রতিশ্রুতি এখনও পালিত হয়নি বলেও অভিযোগ তাঁর।
বিজেপির ইস্তেহারের বয়ান অনুসারে দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চায় বিজেপি। নির্বাচনী প্রচারে এসে একে একে তাই বলেছেন নেতারা। এই স্লোগান আউড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। বিজেপি নেতারা যে কোন প্রচারে গিয়ে একই কথাই বলেছেন।
কিন্তু কী আছে বিজেপির ইস্তেহারে?
ইস্তেহারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে মহিলাদের জন্য চাকরিতে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ-সহ একাধিক সুবিধার প্রতিশ্রুতি৷ শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি৷ অন্যদিকে, অনুপ্রবেশ, শরণার্থী, নাগরিকত্ব ইস্যু, পরিকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির মতো বিষয়গুলি রয়েছে।
কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, পরিবারের অন্তত একজনের নিশ্চিতভাবে কর্মসংস্থান করা হবে৷ কিন্তু কীভাবে, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যে নতুন বিনিয়োগ বা শিল্প না এলে কর্মসংস্থান বাড়বে কীভাবে?
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, বাম জমানায় শ্রমিক আন্দোলন ও তার জেরে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে বারবারই বিরোধীরা অভিযোগ করতো। যদিও তাঁরা স্বীকার করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অবশ্য টাটাকে এনে বাংলায় শিল্প সম্ভাবনা তৈরি করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তৃণমূলের বাধায় তা এগোতে পারেনি। গত দেড় দশকে বাংলায় কোনও বড় বিনিয়োগ বা বড় কোনও কারখানাও হয়নি৷ বড় শিল্প না এলে রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়বে কীভাবে? বিজেপি ইস্তেহার প্রকাশের পর সেই প্রশ্নই ঘুরছে সাধারণের মনে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন