ফলাফল যাই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারেরই জয় হবে - ভোট গণনার দিন সকাল সকাল নন্দীগ্রামে পৌঁছে একথা বললেন নন্দীগ্রামের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
১০ বছর আগে বর্তমান শাসকদলের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল যেই কেন্দ্র, পূর্ব মেদিনীপুরের সেই নন্দীগ্রামই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নিঃসন্দেহে সবথেকে হেভিওয়েট কেন্দ্র। বাংলার এই হটেস্ট কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির হয়ে লড়েছেন কয়েকদিন আগে পর্যন্তও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী হিসেবে ঘোরা শুভেন্দু অধিকারী। দুই হেভিওয়েটের মাঝেই সমহিমায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনা শেষ হয়েছে। কাঁটায় কাঁটায় টক্কর সত্ত্বেও দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষেও এগিয়ে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রচার পর্ব চলাকালীন নন্দীগ্রামের প্রতিটা অলিগলিতে হেঁটে বেড়িয়েছেন মীনাক্ষী। কখনো বয়স্কদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে আবার কখনো গ্রামের মহিলাদের মাঝে বসে তাঁদের কথা শুনতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। নির্বাচনের হার-জিত তাঁকে ভাবাচ্ছে না। মানুষের যে আশীর্বাদ-ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন তাকে অবলম্বন করে ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করে যাবেন তিনি। আজ সকালে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে সেই কথাই বুঝিয়ে দিয়েছেন মীনাক্ষী।
হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পন্সরড স্কুলের মাঠে নন্দীগ্রাম আসনের গণনা চলছে। গণনার দিন কালীঘাটের বাড়িতেই রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রতিবেদন লেখার সময় দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনা শেষ হয়েছে। কাঁটায় কাঁটায় টক্কর সত্ত্বেও দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষেও এগিয়ে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন